অর্থবছরের প্রথম মাসে ১২২৩ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম মাসেই ১ হাজার ২২৩ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এমাসে ব্যাংকিং খাত থেকে ১ হাজার ১৫১ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) বিতরণ করেছে ৭২.৩৯ কোটি টাকা।

জুলাই মাসে সরকারি ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৩৬৮ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণের ৩.৭৩ শতাংশ। আলোচ্য অর্থবছরে সরকারি ব্যাংকগুলোর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা।

অন্যদিকে বিদেশী ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৭৮৩ কোটি টাকা। তবে সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে বিদেশী ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করবে এ ব্যাংকগুলো।

উল্লেখ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৬.৮৬ শতাংশ বেশি। কৃষি ও পল্লী ঋণ এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক সমূহের জন্য ৯ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের জন্য ১১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেক্ষেত্রে ২১ হাজার ৩৯৩.৫৫ কোটি টাকা বিতরণে সক্ষম হয় ব্যাংকগুলো। যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ১০৫ শতাংশ।২০১৬-১৭ অর্থবছরে একই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও সে বছরে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করতে সক্ষম হয় ব্যাংকগুলো। সে দিক থেকে বর্তমানে কৃষিঋণ বিতরণের অবস্থা অনেক ভালো।

এদিকে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে বোরো ধান উৎপাদনে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্য মোতাবেক, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের কৃষকরা ৪৮ লাখ ৫৯ হাজার হেক্টর (১ কোটি ২১ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ একর) জমিতে বোরো ধান চাষ করে মোট ১ কোটি ৯৫ লাখ টন বোরো ধান উৎপাদন করেছেন। যা পূর্ববর্তী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১ কোটি ৮০ লাখ টন উৎপাদনের তুলনায় ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যাবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগী দাবি করেন কৃষিঋণ সঠিকভাবে বিতরণে সফল হওয়ায় এই উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।