আগামীকাল থেকে ঢাকা মহানগরের ৭৩টি বস্তিতে ওএমএস এর চাল বিক্রয়

ঢাকা মহানগরের ৭৩টি বস্তির ৩৯ হাজার ১৮০টি পরিবারের মধ্যে বিশেষ ওএমএস ৫ কেজি করে চাল বিক্রয় করা হবে। এই সকল কেন্দ্রে কোন আটা বিক্রি করা হবে না। পরীক্ষামূলকভাবে আগামীকাল থেকে এই বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম ঢাকা মহানগরের ২টি কেন্দ্র দিয়ে শুরু হবে। এর মধ্যে একটি হলো ৭নং ওয়ার্ড, শিয়ালবাড়ী, রুপনগর ঝিলপাড় বস্তি মিরপুর, অন্যটি সাততলা বস্তি মহাখালী, ঢাকা। এ কার্যক্রম জেলা প্রশাসন, ঢাকা, স্থানীয় সিটি কাউন্সিলর, আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয়/ খাদ্য অধিদপ্তরের তত্ত্ববধানে ঢাকা রেশনিং ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবে। এ কার্যক্রম সকাল ১০টা হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলবে। খাদ্য মন্ত্রণালয হতে খাদ্য অধিদপ্তরে প্রেরিত এক নির্দেশনায় আজ একথা জানিয়ে আরো কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করার কথা বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি চলমান ওএমএস (আটা) কর্মসূচির অতিরিক্ত হিসেবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ওএমএস এর মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে চালের মূল্য প্রতিকেজি ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয। খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত ওএমএস খাতে চালের এক্স গুদাম মূল্য ৮ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ১০ টাকায় পুনঃনির্ধারণ করে। খাদ্য মন্ত্রণালয হতে খাদ্য অধিদপ্তরে প্রেরিত নির্দেশনায দিনমজুর, রিক্সা চালক, ভ্যান চালক, পরিবহণ শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, তৃতীয়লিঙ্গ (হিজড়া) সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সকল কর্মহীন মানুষকে এর আওতায় এনে এই বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভোক্তার বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত মাস্টাররোল সংরক্ষণ করাসহ নির্দেশনায় একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ভোক্তা হিসেবে নির্বাচন না করার কথা বলা হয়। এছাড়াও উক্ত পরিবারের কেউ যদি খাদ্য বান্ধব অথবা ভিজিডি কমূসূচির উপকারভোগী হয়ে থাকেন তাহলে তিনি এ কর্মসূচির আওতায় ভোক্তা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হতে পারবেন না বলে বলা হয়। নির্দেশনায় আরো বলা হয়, জেলা ও বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রে প্রতি ২(দুই) মে.টন এবং ঢাকা মহানগরের কেন্দ্র প্রতি ৩ (তিন) মে.টন করে চাল দৈনিক বিক্রি করা যাবে। অন্যদিকে ভোক্তা প্রতি ৫(পাঁচ) কেজি চাল বিক্রয় করতে হবে এবং একজন ভোক্তা জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদর্শণ করে সপ্তাহে একবার মাত্র ৫(পাঁচ) কেজি চাল ক্রয় করতে পারবেন। সপ্তাহে ৩ (তিন) দিন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা হতে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চালানো হবে জানিয়ে নির্দেশনায় আরো বলা হয়, স্থানীয় প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সিটি কর্পোরশন, পৌরসভা এর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা প্রতিনিধির উপস্থিতি /তদারকীতে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি পরিচালনাপূর্বক বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। নির্দেশনায় আরো বলা হয়, জেলা ও বিভাগীয়/ঢাকা মহানগরীর ওএমএস বরাদ্দের পরিমাণের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ওএমএস কমিটির (জেলা ও বিভাগীয়/ঢাকা মহানগরীর ওএমএস কমিটি) মাধ্যমে বিদ্যমান ওএমএস কেন্দ্রের সংখ্যা ঠিক রেখে বিক্রয়কেন্দ্রের স্থান পূনঃনির্ধারণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী, শ্রমজীবীদের বসবাস কেন্দ্রের নিকটস্থ বস্তি এলাকায় অথবা পর্যাপ্ত খালি জায়গা আছে এমন স্থানকে অস্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করতে হবে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান