আগামী ২৬ জানুয়ারি চালু হচ্ছে নতুন ট্রেন জামালপুর এক্সপ্রেস : রেলপথ মন্ত্রণালয়

আগামী ২৬ জানুয়ারি জামালপুর-ঢাকা-জামালপুর রুটে নতুন ট্রেন ‘জামালপুর এক্সপ্রেস’ চালু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন সকাল ১০ টায় গণভবন থেকে ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা (ভায়া বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব) রুটে নতুন আন্তঃনগর জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন উদ্বোধন করবেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের রেক নতুন কোচ দ্বারা প্রতিস্থাপন, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ঢালারচর এক্সপ্রেস নামে ঢালারচর পর্যন্ত বর্ধিতকরণ এবং ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা রাজবাড়ী এক্সপ্রেস নামে ভাঙ্গা পর্যন্ত বর্ধিতকরণ উদ্বোধন করবেন বলে আজ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, জামালপুর এক্সপ্রেস ঢাকা ছাড়বে সকাল সাড়ে ১০টায়, জামালপুর পৌঁছাবে বিকাল ৪ টা ৫ মিনিটে। এই এক্সপ্রেসটি জামালপুর ছাড়বে বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিটে এবং তা ঢাকা এসে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ১১টায়। ট্রেনের বিরতি স্টেশনের নাম সমূহ- বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, টাঙ্গাইল, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব, ভূঞাপুর, হেমনগর, এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, তারাকান্দি ও সরিষাবাড়ি। জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে এসি চেয়ার ১১০টি ও শোভন চেয়ার ৫১০টি সহ সর্বমোট ৬২০ টি আসনের ব্যবস্থা থাকবে। ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হবে রবিবার।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, জামালপুর হতে ঢাকা পর্যন্ত রেলপথে ‘জামালপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চালু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহে। তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-টাঙ্গাইল হয়ে নতুন রুটে ঢাকা-জামালপুরের মধ্যে আন্তঃনগর এ ট্রেনটি পরিচালনার মাধ্যমে দেশের মধ্যাঞ্চলের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর রাজধানী সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল সমূহের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং কৃষি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করতে পারবে।

নতুন এই ট্রেনে ব্যবহৃত মিটারগেজ কোচসমুহ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর আর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইন্দোনেশিয়ার পিটি ইনকা হতে সংগৃহীত। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এ কোচ দ্বারা আন্তঃনগর ‘জামালপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে রেল ব্যবস্থায় বাংলাদেশ রেলওয়ের আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। অত্যাধুনিক যাত্রি সুবিধা সম্বলিত প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টীলের তৈরী। ট্রেনটিতে প্রতিবন্ধী যাত্রিদের হুইল চেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে মেইন ও টয়লেটের প্রশস্ত দরজা এবং নির্ধারিত আসনের সুবিধা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে রয়েছে পরিবেশ বান্ধব বায়ো-টয়লেট এবং আধুনিক ও উন্নত মানের রুফ মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট সম্বলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।

এছাড়াও ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ‘রাজবাড়ি এক্সপ্রেস’ নামে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ নামে পাবনা জেলার ঢালারচর পর্যন্ত বর্ধিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে চলাচলরত ‘উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস’ ট্রেন এর রেক নতুন আমদানীকৃত কোচ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান