আজিয়াটার তান শ্রী জামালুদ্দিনকে বোর্ড সদস্য নিয়োগ দিলো জিএসএমএ

আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের (আজিয়াটা) প্রেসিডেন্ট এবং গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তান শ্রী জামালুদ্দিন ইব্রাহীমকে আবারও জিএসএমএ’র বোর্ড সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছর মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। রবি আজিয়াটা লিমিটেড আজিয়াটারই একটি অপারেটর কোম্পানি।

বিশ্বের ছোট-বড় ২৫টি অপারেটরের প্রতিনিধিদের নিয়ে মোট ২৬ জন সদস্য রয়েছেন জিএসএমএ’র বোর্ডে। ৩৫০ কোম্পানির ৭৫০ টি অপারেটর সদস্য নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনটি বিশ্বব্যাপী মোবাইল অপারেটরদের স্বার্থ রক্ষা এবং প্রতিনিধিত্ব করে। বোর্ড সদস্যরা সাধারণ সদস্যদের স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্টস্থানে দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করার পাশাপাশি তাদেরকে দিকনির্দেশনা দেন ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করেন।

নিয়োগ সম্পর্কে তান শ্রী জামালুদ্দিন বলেন, “জিএসএমএ’র বোর্ডে আবারও নিযুক্ত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। সদস্যদের স্বার্থে অবদান রাখার এটি বড় সুযোগ।”

তিনি বলেন, “বৈশ্বিক মোবাইল শিল্প দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির দ্রুত বদল এবং নানা ধরণের বাধার কারণে এক সময়ের কার্যকর পাকা ব্যবসায়িক মডেলও এখন মার খেয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের পরবর্তী ধাপটি হবে বৈপ্লবিক। দ্রুত এগিয়ে যাওয়া ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আমাদের যৌথ ইচ্ছা ও প্রচেষ্টার প্রয়োজন হবে।”

“এশিয়ার নেতৃত্বস্থানীয় টেলিকমিউনিকেশন গ্রুপ হিসেবে আমাদের অবস্থানকে সুসংহত রাখার অংশ হিসেবে আজিয়াটা ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটি গ্রুপটিকে ২০২২ সাল নাগাদ নতুন প্রজন্মের ডিজিটাল কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। জিএসএমএ সদস্যদের সাথে আমাদের দ্রুত বর্ধনশীল বাজারের অনেক অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি। নতুন ধারণা এবং দৃষ্টিকোণ পেতে এ শিল্পের সহকর্মীদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আমি উন্মুখ হয়ে আছি।”

এ নিয়োগের আগে তান শ্রী জামালুদ্দিন ২০১৫ সালে জিএসএমএ’র সর্বোচ্চ সম্মানজনক স্বীকৃতি ‘জিএসএমএ চেয়ারম্যান’স অ্যাওয়ার্ড’ পান। বিশ্বব্যাপী মোবাইল যোগাযোগের উন্নয়নে অনবদ্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ পদক দেয়া হয়।

২০০৮ থেকে ২০১৩ সময়কালে তিনি জিএসএমএ বোর্ড সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আসিয়ানভুক্ত কোনো দেশের এবং প্রথম মালয়েশীয় নাগরিক হিসেবে তিনি এ পদ অলঙ্কৃত করেন।

আজকের বাজার/এমএইচ