ইনকাম ট্যাক্স আইডি কার্ড’ পেলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ‘ইনকাম ট্যাক্স আইডি কার্ড’ হস্তান্তর করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে এনবিআর চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ কার্ড তুলে দেন। এ সময় চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীকে এনবিআরের নতুন উদ্ভাবন এ আয়কর পরিচয়পত্র প্রদান এবং নিয়মিত করদাতা হিসেবে অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নজিবুর রহমান বলেন, এনবিআর সারাদেশে একটি রাজস্ব-বান্ধব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার চলমান প্রয়াসের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আয়কর মেলার পাশাপাশি আয়কর দিবস, আয়কর সপ্তাহ, আয়কর ক্যাম্প, রাজস্ব হালখাতা, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে করসেবা পৌঁছানো, রাজস্ব সংলাপ, কর শিক্ষণ ফোরাম, সোস্যাল মিডিয়া সংলাপ, ফেসবুক পেইজ, ফিডব্যাক মেইল ইত্যাদি নিত্য নতুন উদ্ভাবনীমূলক কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, প্রতিবছরই বিভিন্ন উদ্ভাবনী ধারণা গ্রহণ করা হচ্ছে। এবাবের উদ্ভাবনটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানের লক্ষ্যে উজ্জীবিত হয়ে এনবিআর জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ ব্যবহার করে করদাতাদের জন্য একটি ‘ইনকাম ট্যাক্স আইডি কার্ড’ প্রচলন করেছেন। এবার সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলায় করদাতারা এ কার্ডে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। মেলায় ৯১ হাজার ২৫২ জন করদাতা এ কার্ড গ্রহণ করেছেন। প্রতিটি কর অঞ্চল থেকে এ কার্ড প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের করদাতারা এ কার্ড পাবেন।

চেয়ারম্যান বলেন, এ কার্ড নেয়ার মাধ্যমে করদাতারা এ কার্ডকে উন্নয়নে তাদের অংশীদারিত্বের পরিচয় বলে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। মেলায় বেশ কয়েকজন মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রী,সংসদ সদস্য,মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মূখ্য সচিব, মুখ্য সমন্বয়ক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব ও উধ্বর্তন কর্মকর্তারা এ কার্ড গ্রহণ ও প্রশংসা করেছেন।
রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে এ সময় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮২-৮৩ কর বর্ষ থেকে নিয়মিতভাবে আয়কর দিয়ে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সেজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি স্বীকৃতিফলক তৈরি করে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এ কার্ড পেয়ে প্রধানমন্ত্রী এনবিআরের প্রশংসা করেন।
এনবিআর সূত্র জানায়, ২০১৫-১৬ করবর্ষে রিটার্ন দাখিলের সময় শেখ হাসিনা কৃষি, সম্মানী ও সম্মানী ভাতা এবং বাড়ি ভাড়া ইত্যাদি খাতের আয় থেকে সরকারি কোষাগারে ১৪ লাখ টাকা আয়কর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৪০ লাখ টাকা আয়ের ওপর ১৪ লাখ টাকার বেশি কর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার ‘কর অঞ্চল-৬’ এ নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করেন। শেখ হাসিনার আয়কর সংক্রান্ত আইনি বিষয়গুলো দেখভাল করেন তার ব্যক্তিগত আয়কর উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এম মনিরুজ্জামান খোন্দকার।
আজকের বাজার : সালি / ১৫ নভেম্বর ২০১৭