এইডস আক্রান্তদের প্রতি বৈষম্য রোধে ভূমিকা রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

এইডস আক্রান্তদের প্রতি সামাজিক বৈষম্য রোধে সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসমূহের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রমণের হার ০.০১% এর নীচে। এ হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে এবং এইডস আক্রান্তদের প্রতি সামাজিক বৈষম্য রোধে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সংস্থাসমূহের কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’আগামীকাল রবিবার বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন, জনগণের অংশগ্রহণ’তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এবারের প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে এইডস প্রতিরোধে সমাজের সর্বস্তরের জনগণ আরও বেশি সোচ্চার হবে এবং এরই ধারাবাহিকতায় এইডস নির্মূলের অঙ্গীকার আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।

দিবসটি উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৯’উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) এইচআইভি/এইডস বিষয়ক লক্ষ্য অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে এইডস রোগ নির্মূল করার জন্য জাতিসংঘের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, প্রতিটি এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ১০টি সরকারি হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে এইডসের চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এটি আরো সম্প্রসারিত হবে।

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সক্ষম হব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব এইডস দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খবর:বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান