এপ্রিলে ভ্যাট রিটার্ন ও ভ্যাট রাজস্ব আয় বেড়েছে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও গত এপ্রিল মাসে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল ও ভ্যাট রাজস্ব আহরণ আগের মাসের তুলনায় বেড়েছে। মার্চের তুলনায় এপ্রিলে ভ্যাট দাখিলপত্র ৩৪ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং ভ্যাট আহরণ ২২ শতাংশ বেড়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্র জানায়, সাধারণ ছুটির মধ্যে শতভাগ স্বাস্থ্য বিধি মেনেই এপ্রিল মাসের ভ্যাট রিটার্ন ও রাজস্ব জমা নেওয়া হয়। আগত করদাতাদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে দেওয়া হচ্ছে সেবা। গত ১৫ মে ভ্যাট রিটার্ন জমা নেওয়ার শেষ দিন শুক্রবার হলেও করদাতাদের সুবিধার্থে এ দিন ২৫২টি ভ্যাট সার্কেল অফিস খোলা রাখা হয়।
উল্লেখ্য,প্রতি মাসের ভ্যাট দাখিলপত্র পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জমা দিতে হয়। অন্যথায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়। এই আইনি বাধ্যবাধ্যতা কারণে শুক্রবার ছুটির দিনেও সব ভ্যাট সার্কেল খোলা রাখে এনবিআর।
সূত্র জানায়, ১৫ মে পর্যন্ত সারা দেশে রিটার্ন দাখিল হয়েছে ৪২ হাজার ৬০০, যা এর আগের মার্চ মাসের তুলনায় ১১ হাজার বেশি। শতকরা হিসেবে দাখিলপত্র বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। আর এ সময় রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা,যা আগের মাসের চেয়ে ৭০০ কোটি টাকা বেশি। শতকরা হিসেবে ২২ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে,অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা আগের মাসের চেয়ে বেড়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে সার্কেলে গিয়ে রিটার্ন দাখিলের তুলনায় অনলাইনে দাখিল করাকে শ্রেয় মনে করছে করদাতারা। এ কারণে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে।