এমসি কলেজের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

মন্ত্রী আজ দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এমসি কলেজের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এর সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, তারা যে দলেরই হোক, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।

এ সময় মন্ত্রী সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নতুন এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিলেটবাসীর দীর্ঘদেনের স্বপ্ন বান্তবায়ন হতে যাচ্ছে। একে একে সিলেটের উল্লেখযোগ্য সকল দাবি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এ সবের মুল হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামীলীগ এবং শেখ হাসিনা সরকারে আছেন বলে আজ শুধু ওসমানী বিমান বন্দর নয়, সারা দেশে সব সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। সন শ্রেণী-পেশার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।

এ কে মোমেন বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সারা বিশ্ব যখন স্থবির হয়ে পড়েছে তখনও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে নেই। দেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রার গতিধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকারের বিকল্প নেই।

এর আগে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের নির্মাণকাজের সুচনা উপলক্ষ্যে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপির সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হকের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলট বিভাগের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যবৃন্দ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ সিলেটের বিশিষ্টজনরা।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণসহ সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন কাজে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। গত এপ্রিলে এই কাজের জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। প্রকল্পের কাজ শেষ হতে ২ বছর ৯ মাস সময় লাগবে।