করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সফল চীন!

বিশ্বজুড়ে এখন এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। চীনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারতসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশও। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশগুলোও করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত নয়।

সেখানেও শনাক্ত করা হয়েছে ভাইরাস আক্রান্ত রোগী। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়তে থাকা এই ভাইরাস ঠেকাতে তৎপর চিকিৎসা ও জীবাণু গবেষকরা। ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা চলছে। এরই মাঝে, ভালো খবর দিয়েছে চীনের চিকিৎসকরা। চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে জানা গেছে, এই ভাইরাসের নতুন চিকিৎসায় তারা সফল হয়েছেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনের বরাতে এক্সপ্রেস জানিয়েছে, চীনের দুটি হাসপাতালের সাতজন মেডিকেল স্টাফকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে তাদের মধ্যে এই ভাইরাসের যেসব লক্ষণ দেখা দিয়েছিল তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

টোংজির ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ অব হুয়াংজং ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির এই সাত মেডিকেল স্টাফ নতুন চিকিৎসা গ্রহণের পর অনেকটাই সুস্থ আছেন। তাদের মধ্যে এই ভাইরাসের যেসব লক্ষণগুলো দেখা গিয়েছিল সেগুলো নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই ভ্যাকসিনের সফলতা এখনও যাচাই করতে পারেনি। তবুও করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এই ঘটনাকে সফলতা হিসেবেই দেখছে চীন।

যুক্তরাষ্ট্রেও বেড়েছে রহস্যজনক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দেশটির জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- সিডিসি জানিয়েছে, ৫ জন আক্রান্তকে তারা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এছাড়া, ১০০ জনের সম্ভাব্য একটি তালিকা করা হয়েছে; যাদের এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সিডিসি’র দাবি- যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।

এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিওএইচও জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে শুধু চীনেই প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৮০ জনের। সংক্রমনের শিকার প্রায় ৩ হাজার মানুষ। গবেষকদের আশঙ্কা- প্রকৃত সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে। কারণ, সতর্কতা জারির আগেই বহু মানুষ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহান শহর এবং হুবেই প্রদেশ ত্যাগ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বের ১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান