কাশ্মীরের বিরোধ নিয়ে পাকিস্তান ভারতের সম্পর্ক অবনতি

বিতর্কিত অঞ্চল কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দন্ধ আরও গভীর হয়েছে, পাকিস্তান বলেছিল যে তারা ভারতের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করছে এবং ভারতের সাথে বাণিজ্য স্থগিত করছে।

ভারত সরকার সোমবার এই অঞ্চলটিকে তার বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে এনডিআই-প্রশাসিত কাশ্মীর অঞ্চলকে তালাবদ্ধ করে রেখেছে।

রবিবার সন্ধ্যায় কাশ্মীর অঞ্চলের টেলিফোন নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়।

কয়েক হাজার সেনা রাস্তায় টহল দিচ্ছে।

কাশ্মীরের হিমালয় অঞ্চল পুরোপুরি ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষেই দাবি করা আসছে, তবে তারা প্রত্যক্ষভাবে এর কিছু কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।

যোগাযোগ ব্যাবস্তা বন্দ এবং কারফিউ সত্ত্বেও সাধারন মানুষ প্রতিবাদ ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা জানা গেছে।

স্থানীয় নেতাদেরও আটক করা হয়েছে।

কাশ্মীরের ভারতিয় অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ রয়েছে, যার ফলে তিন দশক ধরে কয়েক হাজার মানুষের ভারতিয় সেনাদের হাতে মৃত্যু হয়েছে।

সব সময়ই ভারত পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের সমর্থন করার অভিযোগ এনেছে, তবে পাকিস্তান এটি অস্বীকার করে আসছে।

পাকিস্তান সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান “নৃশংস ভারতীয় বর্ণবাদী শাসনব্যবস্থা, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ফাঁস করার জন্য সমস্ত কূটনৈতিক চ্যানেলকে সক্রিয় করার নির্দেশনা দিয়েছেন”।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, তিনি সশস্ত্র বাহিনীকেও সজাগ থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের নিজস্ব আইন তৈরির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। তবে ভারত সরকার এখন প্রায় ৩৭০ ধারার বেশিরভাগ বাতিল করে দিচ্ছে। অথছ এই ৩৭০ ধারাই প্রায় ৭০ বছর ধরে ভারতের সাথে কাশ্মীরের জটিল সম্পর্কের ভিত্তি।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান