কোম্পানীগঞ্জে ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ১

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ফখরুল নামের অভিযুক্ত এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর ছড়াটিলা গ্রামের সিএনজিচালক ফখরুল ইসলাম ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সোমবার মেয়েটির মা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করার পর পুলিশ ধর্ষক ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গ্রামে মিরাজ আলী (৪০) নামের এক ব্যক্তি নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় সোমবার ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শনিবার রাতে দরিদ্র পরিবারের ওই ছাত্রী বাড়ির সামনে দক্ষিণ দিকের টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। এ সময় চার সন্তানের জনক মিরাজ তাকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে পাশের ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মিরাজ আলীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল জানান, দুটি ধর্ষণের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার দুই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।