ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণে আরব আমিরাতের সহায়তা চেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রাজধানীতে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ক্যান্সার হাসপাতালসহ দেশের আট বিভাগীয় শহরে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তা কামনা করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রোববার সচিবালয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আলমেহিরি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই সহায়তা কামনা করেন।
এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, আরব আমিরাতের নূর দুবাই ফাউন্ডেশনের সিইও ডা. মানাল তারিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশাল জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে ক্যান্সার ও কিডনী রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই রোগগুলোর চিকিৎসাও অত্যাধিক ব্যয়বহুল। কিন্তু সীমাবদ্ধ সম্পদের দেশে বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়মূল্যে ক্যান্সার ও কিডনী রোগের মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করা দুরূহ।
তিনি বলেন, রাজধানীতে এজন্য দুটি পৃথক সরকারি হাসপাতাল থাকলেও তা পর্যাপ্ত না। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা রোগীদের চাহিদা মেটাতে এগুলোর সুবিধা খুবই অপ্রতুল।
জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে ক্যান্সার ও কিডনী রোগের চিকিৎসায় হাসপাতাল নির্মানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। সে অনুযায়ী দেশের আট বিভাগে ক্যান্সার হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে কিডনী ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এই উদ্যোগে আরব আমিরাত সরকারের সহায়তা কামনা করে মন্ত্রী বলেন, এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের প্রান্তিক ও তৃণমূল জনসাধারণ ব্যাপক উপকৃত হবে।
এসময় রাষ্ট্রদূত আরব আমিরাতের নূর দুবাই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চোখের রেটিনা ও গ্লুকোমা চিকিৎসা সুবিধা সংযোজনের পরিকল্পনা সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বরিশাল মেডিকেল কলেজে রেটিনা ও গ্লুকোমা রোগের চিকিৎসা ইউনিট স্থাপন করা হবে। এসময় মন্ত্রী এ ধরণের ইউনিট দেশের আরো কয়েকটি মেডিকেল কলেজে স্থাপনের উদ্যোগ নিতে ফাউন্ডেশনের সিইওর প্রতি অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করার জন্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরো অধিক সংখ্যক মানব সম্পদ যেন সেদেশে যেতে পারে সে লক্ষ্যে সহায়তা করার জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি অনুরোধ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।