গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ৫ অক্টোবর শুরু

রাজধানী ঢাকায় আগামী ৫ অক্টোবর শুরু হবে গঙ্গা- যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব। উৎসব চলবে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এগারদিন।

গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-এর গত ছয়টি উৎসব একই সাথে ঢাকা ও কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলকাতায় হয়েছে নাট্য উৎসব এবং ঢাকায় সাংস্কৃতিক উৎসব হয়েছে। কিন্তু এবারের উৎসবের সকল কর্মসূচি শুধুমাত্র ঢাকাতেই হচ্ছে।

শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে শাহবাগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক উৎসব উদ্বোধন করবেন ভারতের নাট্যজন বিভাস চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাট্যজন মামুনুর রশীদ। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিয়ষক মন্ত্রী আাসাদুজ্জামার নূর। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে অতিথিরা ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেবেন।

গঙ্গা-যমুনা উৎসব পর্ষদের আহবায়ক ও সস্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম এ সব তথ্য জানান। উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক।

তিনি জানান, উৎসবের এগারো দিনের সবগুলো কর্মসূচি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তন, নন্দন মঞ্চ ও ষ্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে থাকবে মঞ্চনাটক, নৃত্য, আবৃত্তি, সংগীত ও পথনাটক। বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ৯৬টি দল উৎসবে অংশ নেবে। এতে ভারতের ৪টি নাট্যদলের ৪টি প্রদর্শনী, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার ২৬টি নাট্যদল প্রদর্শনী করবে। নন্দন উন্মুক্ত মঞ্চে থাকবে ৯টি পথনাটক। আরও থাকছে ১৮টি আবৃত্তি সংগঠনের পরিবেশনা, ১৮টি সংগীত সংগঠনের গান ও ১৮টি নৃত্য সংগঠনের নৃত্যনাট্য। রয়েছে একক ও দলীয় আবৃত্তি এবং সংগীত।

এবারের উৎসবে বিভিন্ন পরিবেশনা ও প্রদর্শনীতে প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন শিল্পী অংশ নেবেন । উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্ব প্রতিদিন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত চলবে। মঞ্চ নাটক প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হবে।

উদ্বোধনী দিনে ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ভারতের ড্যান্সার্স গিল্ড পরিবেশন করবে নৃত্যনাট্য ‘ তোমারই মাটির কন্যা ’। এটি নির্দেশনায় রয়েছেন জোনাকী সরকার এবং কোরিওগ্রাফিতে রয়েছেন মঞ্জুশ্রী চাকী ।

গোলাম কুদ্দুস জানান, দুই দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মতবিনিময়, সম্পর্ক উন্নয়ন, শিল্পীদের মধ্যে পরিচিতির জন্যই তারা গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতকি উৎসব আয়োজন করে আসছেন। বিগত উৎসবগুলোর মধ্যদিয়ে তাদের এই আকাক্সক্ষার অনেকটাই সফল হয়েছে বলে তিনি জানান।

আজকের বাজার/এএল