গণতন্ত্র হত্যার উৎসব চলছে আ.লীগ কার্যালয়ে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রাণী হত্যা করার পর আদিম বন্য উৎসবের ন্যায় এখন গণতন্ত্র হত্যার উৎসব চলছে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির মাধ্যমে।

তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ সবসময় উল্টো পথে হাঁটে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অর্থই হচ্ছে-স্বচ্ছ নির্বাচনী ব্যবস্থার বারোটা বেজে যাওয়া। সন্ত্রাসীদের দূর্গ আওয়ামী লীগ কখনোই প্রতিযোগিতামূলক অবাধ নির্বাচনে বিশ্বাস করে না।

তিনি আরো বলেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর প্রতিশোধ গ্রহণে কারাগারকে সরকার ব্যক্তিগত খোঁয়াড় হিসেবে ব্যবহার করছে

শনিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে বিনা কারণে নিপীড়ন করার জন্য দেশের কারাগারগুলো এখন শেখ হাসিনার প্রতিশোধ গ্রহণের ব্যাক্তিগত খোঁয়াড়ে পরিণত হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম চালাতেই নিম্ন আদালত পার্টি ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে রক্ত দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে উত্তাল আন্দোলনকে বিজয়ের পথে ধাবিত করবেই।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতেই নির্বাচন কমিশন যাবতীয় কার্যক্রম চালাচ্ছে। এজন্য আগামী নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার বা নির্বাচনী মাঠ সমতল করার কোনো গরজ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নেই।

ভোটারদের মুড অফ মন্তব্য করে রিজভী বলেন, একতরফা নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়ো করে কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণায় সারাদেশের ভোটারদের মুড-অফ, দেশের জনগণ নির্বিন্ন ও হতাশ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন করেছে, আবার তারাই সংবিধান থেকে সেটি মুছে দিয়েছে। কোনো আধুনিক সভ্য রাজনৈতিক দল একের পর এক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বখাটে আচরণ করতে পারে না।

আজকের বাজার/এমএইচ