চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ হাজার মেট্রিক টন

আজকের বাজার প্রতিবেদন
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি) ২০১৭-১৮ আখ মাড়াই মওসুমে ৬৫ হাজার মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
সম্প্রতি রাজধানীর দিলকুশায় চিনি শিল্পভবনে ২০১৭-১৮ আখ মাড়াই মওসুমে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিএসএফআইসি এর আওতাধীন চিনিকলগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আগামী রমজানে বাজারে নিরবচ্ছিন্ন চিনি সরবরাহ এবং সাম্প্রতিক বন্যায় আখ উৎপাদনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিএসএফআইসির মাধ্যমে ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০১৭-১৮ আখ মাড়াই মওসুমে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আখ চাষিদের পাশাপাশি চিনিকল এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারি, শ্রমিকসহ সবাইকে আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এর ফলে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, চিনিশিল্পের সঙ্গে ৩০ হাজার শ্রমিক পরিবারসহ অনেক আখ চাষি জড়িত। তারা চিনিকলগুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এসব বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুকূল্যে অলাভজনক চিনি শিল্পকে এখনও বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। এ সময় তিনি অলাভজনক চিনিশিল্পে অপ্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ, অতিরিক্ত ভাতা (ওভারটাইম) প্রদান ইত্যাদি বন্ধ রেখে ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রতা সাধনের পরামর্শ দেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, সরকার চিনিশিল্প লাভজনক করতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের মত অন্য কারখানাগুলোতেও পণ্য বৈচিত্রকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে সকল চিনিকলে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করে বিএমআরই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চিনিকলকে নিজেদের প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করে উৎপাদন বাড়াতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি আহবান জানান। এর আগে মন্ত্রী ১০টি চিনিকলের ব্যবস্থাপকদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন।