চুয়াডাঙ্গায় শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

দীর্ঘ ৯ বছর পর চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে শিশু (১১) ধর্ষণ মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জিয়া হায়দার আসামীর অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। সাজা প্রাপ্ত আসামি হল- চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মৃগামারি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শাহাবুল হক।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩০ মার্চ বিকেলে প্রতিবেশী শাহাবুল হক উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামে মেলা দেখার নাম করে শিশুটিকে নিয়ে যায়। মেলা দেখে রাতে বাড়ি ফেরার সময় শাহাবুল হক শিশুটিকে জুসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ালে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তারপর শিশুটিকে উপজেলার দেহাটি গ্রামের একটি মেহগুনি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি রক্তাক্ত জখম হলে শাহাবুল রাতে দেহাটি গ্রামে তার এক আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। পরের দিন সকালে তাকে শাহাবুল তার শ্বশুর বাড়ি আন্দুলবাড়িয়া গ্রামে রেখে পালিয়ে যায়। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা খোঁজ পেয়ে বিকেলে আন্দুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে মৃগামারি গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে আসার পর শিশুটি তার মায়ের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। রাতে শিশুটিকে আহত অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির পিতা বাদি হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে জীবননগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। জীবননগর থানার এসআই কেরামত আলি মামলার তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৫ জুন দুই জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ ৯ বছর পর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জিয়া হায়দার ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে শাহাবুল হককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অন্য আসামিকে খালাস দেয় আদালত।