জাতীয় চিড়িয়াখানা খুলছে ১ নভেম্বর

স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বেশকিছু শর্ত প্রতিপালন নিশ্চিত করা সাপেক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে চিড়িয়াখানা খোলার এ অনুমতি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনার ক্রান্তিকালে ঢাকাবাসীর বিনোদনের উল্লেখযোগ্য বিকল্প না থাকায় তাদের বিনোদন এবং শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিড়িয়াখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে চিড়িয়াখানায় থাকা প্রাণীদের খাদ্য, নিয়মিত পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা এবং সরকারের রাজস্ব ক্ষতির বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।’

চিড়িয়াখানায় প্রবেশ ও অবস্থানের সময় সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দর্শনার্থীদের অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ যে বিষয়গুলো নিশ্চিত করবে তা হলো- চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে অমোচনীয় রঙ দিয়ে বৃত্তাকার স্থান চিহ্নিত করা, প্রবেশপথে জীবাণুনাশক টানেল ও ফুটবাথ স্থাপন করা, প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে দর্শনার্থীর দৈহিক তাপমাত্রা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা এবং চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা।

এছাড়া, দর্শনার্থীর সংখ্যা দৈনিক সর্বোচ্চ ২ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা, প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ প্রাণির চারপাশে জীবাণুনাশক স্প্রে করা, পরিদর্শন সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখা, ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিদের চিড়িয়াখানায় প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখার শর্ত দেয়া হয়েছে।

দর্শনার্থীদের জন্য পালনীয় বিষয়গুলো হলো- চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অমোচনীয় রঙ দিয়ে চিহ্নিত বৃত্তাকার স্থানে অবস্থান করা, প্রবেশপথে স্থাপিত জীবাণুনাশক টানেল ও ফুটবাথ ব্যবহার করা, চিড়িখানার ভেতর প্রবেশের পর দিক নির্দেশক অনুসরণ করে একমুখী পথ ব্যবহার করা, বাধ্যতামূলকভাবে ফেইস মাস্ক ব্যবহার করা, চিড়িয়াখানায় খাবার নিয়ে প্রবেশ না করা এবং চিড়িয়াখানার ভেতরে এক জায়গায় ভিড় বা জটলা না করা।

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২০ মার্চ জাতীয় চিড়িয়াখানা বন্ধ ঘোষণা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।