জাবি ছাত্র অধিকার পরিষদ কর্মীকে ছাত্রলীগের মারধর

খেলার মাঠে না যাওয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের (৪৮ ব্যাচ) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী। বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ফাহিম ফয়সাল সরকার ও রাজনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (৪৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার অনুসারী।

মারধরের শিকার ইব্রাহিম খলিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী। ঘটনার বিচার দাবি করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সংশ্লিষ্ট আবাসিক হলের প্রাধ্যাক্ষ বরাবর দেয়া লিখিত অভিযোগে দিয়েছে। ইব্রাহিম জানান, আমি অসুস্থ। বিভাগে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা শেষ করে হলে ফেরার পরপরই সিনিয়ররা আমাকে গেষ্টরুমে ডাকে। গেষ্টরুমে গেলে সেখানে জোর করে খেলার জন্য টাকা চায় এবং খেলার মাঠে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। আমি অসুস্থ থাকায় মাঠে যেতে অসম্মতি জানালে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং মারধর করে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, মারধরের বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় হলের ওয়ার্ডেনকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, আমি শুনেছি। বিষয়টি দেখতেছি। মারধরের বিষয়ে অভিযুক্ত ফাহিম ফয়সালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায় নি।

এ বিষয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আরমানুল ইসলাম খান বলেন, নবীনদের আগমনের পূর্বে এমন ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং আতঙ্ক উস্কে দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র‌্যাগিং নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত আগামি ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর কথা রয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ