জিপিএ-৫ নয়, জেএসসি-এসএসসি-এইচএসসিতে সিজিপিএ-৪ হচ্ছে

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় থাকছে না জিপিএ-৫। আগামী জেএসসি থেকেই তা কমিয়ে সিজিপিএ-৪ করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ(সিজিপিএ)-৪ ধরে এর ভিত্তিতেই পরীক্ষাগুলোর ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

গতকাল বুধবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৈঠকে তিনি সিজিপিএ পুনর্বিন্যাস করে একটি খসড়া উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।

তথ্যমতে, প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় সর্বোচ্চ গ্রেড-৫ ধরে ফল নির্ধারণ করা হয়। বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গ্রেড সিজিপিএ-৪ নির্ধারিত রয়েছে। ফলে এসএসসি আর এইচএসসির ফলের সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষার ফলের সমন্বয় করতে গিয়ে দেশের চাকরিদাতারাই মহাসমস্যায় পড়েন। আর আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের ফলাফলের সমতা থাকছে না।

এদিকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ জন্য সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি ৪-এর লক্ষ্য অর্জনে সব পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আর তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক গ্রেডে ফল প্রকাশ করার প্রক্রিয়া চলছে। সব মিলিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই গ্রেড পরিবর্তন করছে বলে জানা যায়।

আন্ত শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, আন্ত বোর্ডের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে সিজিপিএ ৫-এর পরিবর্তে ৪-এর মধ্যে ফল প্রকাশে সবাই একমত হয়েছেন। সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে কীভাবে ফল দেয়া যায় সে ব্যাপারে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি খসড়া শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করব। যদি সম্ভব হয় তাহলে চলতি বছরের জেএসসি থেকেই আমরা সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ফল প্রকাশ করতে চাই।

এছাড়া জানা যায়, পরীক্ষার প্রায় ছয় মাস আগেই রুটিন প্রকাশ করা হবে। জেএসসি, জেডিসি ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ২০ থেকে ২২ দিনের মধ্যে শেষ করার প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে এক মাস বা তার বেশি সময় ধরে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা নেয়া হয়। ফলে ক্লাসসহ অন্য একাডেমিক কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব হয় না কেন্দ্রগুলোতে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অন্যান্য শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা। এ ক্ষেত্রে একটি পরীক্ষার পর অন্য পরীক্ষার বিরতি কমিয়ে আনা হবে। এক পরীক্ষার পর অন্য পরীক্ষার মধ্যকার ছুটি বাতিল করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম বলেন, একটি পরীক্ষার পর দুই-চার দিন বন্ধ বা গ্যাপ রাখা অনাবশ্যক। পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনা যুগোপযোগী ও ভালো সিদ্ধান্ত।

আজকের বাজার/এমএইচ