জিম্বাবুয়ের কাছে বড় হার টাইগারদের

বাংলাদেশের কাছে সর্বশেষ চার টেস্টেই হেরেছে জিম্বাবুয়ে। তাদের সেই লজ্জা এবার নিবারণ হলো। জিম্বাবুয়ের দেয়া বিশাল টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার সিলেটে ম্যাচের চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই সিকান্দার রাজার স্পিনে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান লিটন দাস (২৩)। মাত্র ৯ রান করে জার্ভিসের বলে বোল্ড হয়ে যান ‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ খ্যাত ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক।

এরপর ব্যক্তিগত ৪৩ রানে সিকান্দার রাজার বলে বোল্ড হয়ে যান ইমরুল কায়েস। ৮৩ রানে শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যান হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এই ইনিংসেও ব্যর্থ। ১৬ রান করে সিকান্দার রাজার শিকার হন তিনি। মাত্র ১৩ রান করে সিকান্দারের আরেক শিকার হন নাজমুল হোসেন শান্তও। ১১১ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে ৩১ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে দল যখন হারের মুখে আছে, মুশফিকুর রহিম তখন ব্যক্তিগত ১৩ রানে মাভুতার বলে উইলিয়াম মাসাকাদজার তালুবন্দি হলেন। মেহেদী মিরাজও (৭) তার পথ অনুসরণ করে মাভুতার বলে ক্যাচ তুলে দিলেন পতন হলো ৭ম উইকেটের। তাইজুল ইসলাম আর নাজমুল ইসলাম অপু দুজনেই ‘ডাক’ মেরেছেন। তাদের উইকেটে পেয়েছেন যথাক্রমে উইলিয়াম মাসাকাদজা এবং মাভুতা। ৩৮ রান করা আরিফুল হককে চাকাভার গ্লাভসবন্দি করে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন ৪ উইকেট নেওয়া মাভুতা। ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে ১৫১ রানের বড় জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে।

সোমবার বিনা উইকেটে ২৬ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তাইজুল-মিরাজ-অপুদের ঘূর্ণিতে ১৮১ রানে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়। ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট নেন তাইজুল। এতে বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে টেস্টে নূন্যতম ১০ উইকেট পাওয়া হয়ে যায় তার। ৩ উইকেট নেন মিরাজ এবং দুটি নেন নাজমুল অপু। বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৩২১ রানের।

প্রথম ইনিংসে ২৮২ রানে অল-আউট হয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে ৬ উইকেট নেন তাইজুল। কিন্ত নিজেদের প্রথম ইনিংসে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় দিনে দেড় সেশনেই অল-আউট হয় মাত্র ১৪১ রানে। প্রথম ইনিংসেই জিম্বাবুয়ের লিড ছিল ১৩৯ রানের।

আজকের বাজার/এমএইচ