জয়পুরহাটে পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে

খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে ২০১৯-২০ রবি ফসল চাষ মৌসুমে ৯৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হেক্টর অতিরিক্ত। বিগত পাঁচ বছরে পেঁয়াজ চাষে তেমন আগ্রহ না থাকলেও এবার বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ার কারণে কৃষকদের মাঝে পেয়াঁজ চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জয়পুরহাট জেলায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৯৯৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয় ৮৪৫ হেক্টর। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এক হাজার ২০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয় ৯ শ হেক্টর। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৯২০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয় ৯শ হেক্টর। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৯ শ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয় ৯১০ হেক্টর এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ৯১০ এর বিপরীতে চাষ হয়েছে ৯৩০ হেক্টরে। বাজারে পেঁয়াজের দাম এবার বেশি হওয়ায় কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করলেও বীজ সংকট আবার বাজারে বীজের দাম বেশি হওয়ার কারণে অনেক কৃষক পেঁয়াজ চাষ করতে পারেনি। সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামের কৃষক মুক্তার হোসেন, ভানাইকুশালিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, পেঁয়াজ রোপণ করার জন্য একেকটি চারা বাজার থেকে কিনতে হয়েছে ৪০ পয়সা করে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে জেলায় এবার পেঁয়াজ চাষ সফল করতে ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে স্থানিয় কৃষি বিভাগ। গ্রীষ্মকালীন পেয়াঁজ চাষে সরকারের প্রণোদনার আওতায় ৫০ জন কৃষককে ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার সঙ্গে ২শ গ্রাম পেঁয়াজের বীজ প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও রাজস্ব খাতের আওতায় ৬০ বিঘা জমিতে কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ চাষ প্রদশর্নীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে টিসিবি থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করা হলেও দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: কায়ছার ইকবাল বলেন, বাজারে এবার পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান