ডিএসই-সিএসইতে পুঁজি কমেছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

দুদিন সূচক উত্থান আর দুদিন পতনের মধ্য দিয়ে এপ্রিলের চতুর্থ সপ্তাহও পার করলো দেশের দুই পুঁজিবাজার। আলোচিত সপ্তাহে মন্দা ঠেকাতে অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগের পরও দরপতন থামেনি।

ফলে বিদায়ী এ সপ্তাহেও সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। আর তাতে বাজার মূলধন অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকারও বেশি। তবে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ও সিএসই) তথ্যমতে, বিনিয়োগকারীদের পুঁজি সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা কমেছে। এর মধ্যে ডিএসই থেকে কমেছে পাঁচ হাজার ৭১৩ কোটি পাঁচ লাখ আট হাজার টাকা আর সিএসইতে কমেছে এক হাজার ৭৩৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯ হাজার টাকা।
এর আগের সপ্তাহে কমেছিল পাঁচ হাজার কোটি টাকা। তার আগের সপ্তাহে কমেছিল সাড়ে ১৯ হাজার ৬৪০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। তারও আগের সপ্তাহে কমেছিল ৯ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ২২ এপ্রিল সোমবার লেনদেন বন্ধ থাকায় গত সপ্তাহে মোট চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। ফলে গত সপ্তাহে (২১-২৫এপ্রিল) ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৬৬ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৭৩ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২৩২ কোটি ৬২ লাখ চার হাজার ৪৭১ টাকা। যা শতাংশের হিসেবে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম।

এই সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ২২৪টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে দাম বেড়েছিল ১৭৬টির, কমেছিল ১৪৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বেশিরভাগ কোম্পানির শোয়ারের দাম কমায় তিন সূচকের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক এর আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ২৬৬ পয়েন্টে।

একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৩ কোটি ৩১ লাখ দুই হাজার ৭৮ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৩ কোটি ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭৪৫ টাকার।

এ সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১৮১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফলে আগের সপ্তাহের চেয়ে ১১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৪৬ পয়েন্টে।