বাজেট হতে হবে শিল্প বাণিজ্যবান্ধব: সৈয়দ এরশাদ আহমেদ

আমি শিল্প বাণিজ্য জগতের মানুষ সেদিক থেকে বলব অনেকে বলছে এবারের বাজেট অনেক বড় হয়েছে,আমি কিন্তু আশাবাদী মানুষ। বড় বাজেট নিয়ে আমি শঙ্কিত না, বাজেট বড় হওয়াটা ভালো যদি সেটা সঠিকভাবে কার্যকর হয়। এখন কথা হলো আমি একটা বড় বাজেট করলাম বা আমার খরচের জন্য যা দরকার তা আমি সংগ্রহ করতে পারলাম না। আমার লোন বেড়ে গেল,সঠিকভাবে কার্যকর করতে পারলাম না তাহলে সেরকম বড় বাজেট করে লাভ নেই। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাজেট ইনক্রিমেন্ট করা। আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে,২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই সে ক্ষেত্রে বড় বাজেট আমরা করতে পারি সেটা পজেটিভলি দেখছি। কিন্তু কথা হচ্ছে ব্যবসার জন্য এটা কতটা কার্যকর। আমরা সবাই আশা করেছিলাম যে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো হবে কিন্তু সেটা কমায়নি।

আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ গুলোতে যে করপোরেট ট্যাক্স আছে তার তুলনায় বাংলাদেশে অনেক বেশি। এখানকার আশায় আমরা বড় আশাহত হয়েছি, এই দিকে সরকারের লক্ষ্য রাখা উচিত ছিল। আমরা বার বার বলি, প্রতি বছর বলি কিন্তু এতে কোন কাজ হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত ব্যবসা করতে গেলে আমাদের কি দরকার? ইনফেকটাকচার। আসলে কি আমরা ইনফেকটাকচার টা ঠিক ভাবে পাচ্ছি? আমাদের রাস্তাঘাট ঠিকি হচ্ছে কিন্তু এত স্লো এই ভাবে আমরা এগুতে পারছিনা। আমরা বলছি যে আমরা ২১ থেকে ৫১ বিলিয়ন বাড়াব ২০২৫ সালের মধ্যে গার্মেন্টস স্কোর উপর কিন্তু আমাদের যে এক্সপোর্ট বাড়ছে সেই পেজে আমাদের তো ইনফেকটাকচারটা বাড়তে হবে। আমাদের পোর্ট ফ্যাসালিটি, এয়ারপোর্ট ফ্যাসালিটি নেই। গত বছর ঢাকার এয়ারপোর্টে আমাদের ইউ কে রেড জুন ঘোষণা করেছিল।

ফলে আমাদের এক্সপোর্টের উপর একটা বিরুপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এখন আমরা যদি এক্সপোর্ট করতে যাই আমাদের খরছ বেড়ে গেছে ১২ থেকে ১৫ সেন্ট। কারণ এটা অন্য দেশে রিসকার্ড করে মালের ডেলিবারি টাইম বেড়ে গেছে । এ রকম হলে আমরা এক্সপোর্ট বাড়াবো কি করে? ঢাকা এয়ারপোর্টে একটা স্কারারে কত কোটি টাকা যায় তো এত বড় বাজেটের মধ্যে কি আমরা একটু পেতে পারতাম না।যেটা দিয়ে ঢাকা এয়্রপোর্টে একটা স্কানার একটু উন্নত করা যেত,একটা বাজেটের অংশ কি এখানে রাখা যেত না। আমরা সেটা দেখছিনা,ঢাকা এয়ারপোর্টের যে অবস্থা,সেখান থেকে এক্সপোর্ট করা খুবই দুরুহ। এক্সপোর্ট এর কথা বাদ দেন,এই ইমপোর্টেও যে মাল গুলো আসে সেগুলো খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকে। বাজেটে কি একটা অংশ রাখা যেত না যেটা দিয়ে এই গুলো ভালো অবস্থানে রাখবে। বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসা বাড়ছে, ফার্মা ব্যবসা বাড়া মানে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্ট.হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট হবে সেটার জন্য ইমপোর্ট আসবে এ গুলো যদি হেলথ কেয়ারকে করতে হয় সেখানে একটা কোর চেইন এর দরকার আছে। কোর চেইনের জন্য একটা রুম থাকতে হবে এয়ারপোর্টে, সুন্দর ফ্যাসালিটি থাকতে হবে সেটার জন্য কি একটা বাজেট করতে পারতাম না। তাহলে আমরা ইনফেসটাচারে কোথায় আছি,এখনও বিদ্যুৎ সয়ংসম্পুর্ণ হতে পারিনি,গ্যাসের অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের যারা ইন্ড্রাষ্টী আছে তারা সাফার করছে, ইষ্ট্রাগোল করছে।

শিল্প খাতের বর্তমান সমস্যা
আমাদের লেদার ষ্টিক নিয়ে গেছি সাভারে তাতে কোন কানেকশন নেই, গ্যাস কানেকশন পাচ্ছে না তারা কিভাবে চলবে। এই দিকে কোন দিক নির্দেশনা নেই বাজেটে আমরা ব্যবসায়ীররা কোন সুবিধা পাই না। সুবিধা পেলে ব্যবসায়ীরা সফল হতো এতে প্রতি বছর ইউনিভাসিটি থেকে যে লক্ষ লক্ষ স্টুডেন্ট পাস করে বের হয় আমরা তাদের জন্য চাকরীর ব্যবস্থা করতে পারতাম। সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। তারপর আরেকটা ব্যাপার আছে যে গুলো বাজেটের বাইরে কিন্তু সরাসরি ব্যবসার সাথে জরিত। যেমন চট্রগ্রামে এত লোক মারা গেল এ্যানসাইডে, প্রতি বছর মারা যাচ্ছে। আমাদের পরিবেশের অবস্থা খারাপ, ঢাকা শহরে শুধু ধুলা খেয়ে যাচ্ছে এ গুলো আমাদের বিরুপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সব কিছুতেই এই সব নিউজ যদি বাইরে যায় তাহলে দেশের ইমেজ নষ্ট হয়ে যাবে।

এগুলোর জন্য কি আমরা বাজেটে একটা অংশ রাখতে পারতাম না? সেটা কি আমরা রেখেছি? রাখলে কতদিনের মধ্যে আমরা এটা দেখতে পারবো। শিক্ষা খ্যাতে যে ১৬% রেখেছে সেখানে শিক্ষা, টেকনোলজি আছে। এখন কতটুকু শিক্ষা খ্যাতে আর কতটুকু টেকনোলজিতে,আমার দেশে কারিগরী শিক্ষার প্রচুর অভাব,ডক্টররা বলে-আমাদের নার্স নেই আমরা সঠিক ভাবে সার্ভিস দিতে পারি না, প্যারামেডিকস নেই, মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট নেই। টেকনিশিয়ান,নার্স,প্যারামেডিকস তৈরী করার জন্য যে প্রতিষ্ঠানের দরকার সে ক্ষেত্রে বাজেট থেকে কতটুটু পাচ্ছে,কতটুকু দ্বারা এই কাজ তারা করতে পারবে। এটা সরকারের কাছে স্পষ্ট শুনতে চাই আমরা। এ বছরে আমরা দুইটা নার্সিং প্রতিষ্ঠান ও একটা প্যারামেডিকস প্রতিষ্ঠান করতে চাই। এগুলো যদি না হয় আপনার তবে দেশের শিক্ষা,স্বাস্থ্য এ গুলোর সরাসরি আমাদের শ্রমিকদের উপর প্রভাব পড়ে। আমাদের এক্সিগিটিভ তৈরী করতে গেলেও এগুলোর প্রভাব পড়ে। ব্যবসা করতে গেলে দেশের শিক্ষা,স্বাস্থ্য এগুলো চলে আসে একটা অধ্যায় হয়ে।

পণ্যভেদে ভ্যাট বা ট্যাক্স এর মধ্যে পার্থক্য
ভ্যাট বা ট্যাক্স দুটোই কিন্তু ট্যাক্স। ভ্যাটটা হচ্ছে ভ্যালুওনেশণ ট্যাক্স বা একটা ডিরেক্ট আরেকটা ইনডিরেক্ট ট্যাক্স। ভ্যাট টা হচ্ছে ইনডাইরেক্ট ট্যাক্স যেটা সবার উপরে ছিল নির্ধারিত। যখন এটা বাড়াচ্ছে তখন কিন্তু প্রভাবটা সবার উপরে পড়ছে। জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে যেমন আলু,পেয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আমি তো এ গুলোর উপর ভ্যাট দিচ্ছি না তাহলে এ গুলোর দাম বাড়বে কোন? আলু, পেয়াজ তো পরিবহন হয়ে আসবে,পরিবহনের তো এ্যাডিশনাল ভ্যাট দিতে হবে। পরিবহন থাকতে যদি ভ্যাট দিতে হয় তাহলে কিন্তু আপনি ভ্যাট দিচ্ছেন,বাড়ি ভাড়ার উপর ভ্যাট যাবে,দোকানের ভাড়া বেড়ে যাবে বাধ্য হয়ে জিনিসের দাম বেড়ে যাবে এটা এডিরেক্ট ট্যাক্স।আর ডিরেক্ট ট্যাক্সে আমরা খুবি অসফল এখানে মাত্র ২৭ লক্ষ লোক ট্যাক্স দেয় বাংলাদেশে এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এটা মিনিমাম ১ কোটি হওয়া উচিত। এর আওতা বাড়াতে হবে,নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে। এগুলো না বাড়িয়ে সরকার ট্যাক্স বাড়াচ্ছে এই ২৭ লাক্ষকে নানা ভাবে বুঝাচ্ছে,নাজেহাল করছে। যারা ট্যাক্স এর কালেক্টর তাদেও এত ক্ষমতা আছে এরা আপনাকে নাজেহাল করে ছেড়ে দিতে পারবে। বিদেশে কিন্তু অটোমেটিক ট্যাক্স যায় এই সিস্টেম যদি আমরা চালু করতে পারতাম তাহলে নাজোলটা কম হতো। জনগন আগ্রহ হয়ে ভ্যাট দিতো,-এখন মানুষ ট্যাক্স দিতে ভয় পায়,আগ্রহ হারায়,যারা ট্যাক্স কালেক্ট করে তারাও নানা রকম ভয় দেখায় এ জন্য মানুষের ট্যাক্স দেওয়ার আগ্রহ থাকে না।

কিন্তু ট্যাক্স দরকার আছে দেশের জন্য,ট্যাক্স কমিশন বাড়ানো উচিৎ সেক্ষেত্রে ট্যাক্স নির্ভরতা বাড়ানো উচিত। সেদিকে খেয়াল না রেখে আমাদের ট্যাক্স বাড়িয়ে দিচ্ছে কমাচ্ছে না। ট্যাক্সের উপর ইনকামট্যা´ যেটা আড়াই লক্ষ টাকা,এটা দিয়ে একটা মানুষের কি হয়?একটা লোক যদি বছরে আড়াই লক্ষ টাকা ইনকাম করে তার কাছ থেকে ট্যাক্স নিলে তার রিযিকে হাত দেওয়া হয়। এটা মিনিমাম সারে ৩ লক্ষ টাকা হওয়া উচিত ছিল। একজন লোক যদি বছরে আড়াাই লক্ষ টাকা ইনকাম করে ঢাকা শহরে তাহলে কিন্তু সে প্রতিদিন মাংস খেয়ে দিন কাটাতে পারবে না,তাকে বাড়ি ভাড়া দিতে হয়। সেক্ষেত্রে তার কাছ থেকে ট্যাক্স নিলে তাকে কিন্তু কষ্ট করে দিতে হয়। এখানে তাকে একটি ছাড় দেওয়া দরকার ছিল কিন্তু এটা সে পাচ্ছে না।

ডিজিটাল বাংলাদেশে অটোমেটিক সিস্টেমে ভ্যাট দেওয়া
আমাদের ইমিডিয়েটলি কাষ্টুমস,ইনকাম ট্যাক্স,ভ্যাট তিনটাকেই অটোমেটিক করা উচিত। যত ডিজিটাল কন্টাক করতে পারবেন তত স্বচ্ছতা বাড়বে এবং যখন আমরা ট্যাক্স সাবমিট করবো এটা যদি আমরা ্কমিশনার লেভেল পর্যন্ত কপি দিয়ে সাবমিট করতে পারি তাহলে ডিজিডির হাতেও ফাইল ঝামেলা করার স্কোপটা কমে যাবে। মানুষ নাজেহাল কম হবে এতে স্বচ্ছতা আসবে। আমরা এত টেকনোলজির কথা বলছি,বাজেট দিচ্ছি এটা ভালো কিন্তু আমাদের রেবিনিউ কালেকশনে আমরা অটো মেশিন দেখতে চাই অতি শীঘ্রই। তাতে স্বচ্ছতা আরও বাড়বে,সরকারের এভিনিউ বাড়বে।

এখন সরকার অস্বচ্ছতার জন্য এভিনিউ কম পাচ্ছে,সব কিছুই আমরা পজেটিভ দেখতে পাচ্ছি। সুতরায় অটোমেশিনে আমরা কোন যাবো না এই খানে আমাদেও ভালো বাজেট রাখা উচিত। কাস্টুমস,ভ্যাট এবং ইনকাম ট্যাক্সকে অটোমেটিক করার জন্য। সাথে সাথে আমাদের ইমিটেশন বা পাসপোর্ট রয়েছে ।এখনও দেখবেন এমিটেশনে অনেক সময় নেয় এয়ারপোর্টে। একটা বিদেশী যখন এয়ারপোর্টে নামে তাকে লম্বা লাইন দিয়ে তাকে থাকতে হয়। আধাঘন্টা লাইন দিয়ে সে ঢোকে বাংলাদেশে,তার পওে তার লাগেজের জন্য তাকে আরও ১ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় এই জিনিস গুলোতে নজর দিতে হয়। এগুলো ইমেজের ব্যাপার,ইনবেস্টমেন্ট যদি আপনি করতে চান,দেশের ইনবেস্টমেন্ট যদি বাড়াতে চান তাহলে দেশের ইমেজটাকে পজিটিভ করতে হবে। এটা আপনাকে প্রথম থেকেই শুরু করতে হবে,একটা লোক যখন দেশে ঢোকে তখন যদি তাকে একটা পজিটিভলি ইমেজ দিতে পারি এটা ইনবেস্টমেন্টের জন্য পজেটিভ দিক। এদিকেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে,বাজেটেও এগুলোর দিক নির্দেশনা থাকতে হবে। বাজেট তো একটা সার্বিক জিনিস সেখানে সব কিছুই থাকতে হবে।

আমাদের দেশের যে ব্যাংক যেমন সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক,বাসিক ব্যাংক রুপালি ব্যংক এগুলো বছরের পর বছর লস দিয়ে আসছে অথচ এগুলোকে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে সরকার,কেন? আমি ট্যাক্স দেই আমার টাকা সরকার কালেক্ট করছে অথচ আমি শুনতে পাচ্ছি না। অথচ সরকার ক্ষতিপুরণ দিয়ে যাচ্ছে এর জন্য আমাকে আফগানি শুল্ক দিতে হবে। সরকার আফগানি শুল্কে বেশি টাকা নিবে এটা কেন? এটা কোন দেেেশর হয়ে আমি আছি।এগুলো ডাশ না ,এগুলো বুঝতে হবে। এই ব্যাংক গুলোকে পাইভেট করে দেন তারা চলতে পারলে চলবে না পারলে বন্ধ কওে দিবে। বছরের পর বছর সরকার ক্ষতিপুরণ দিবে আমাদেও টাকা নিয়ে ট্যাক্স নিয়ে ভর্তুকি দিচ্ছে। আবার উল্টে আমি ট্যাক্স দিয়ে ব্যাংকে টাকা রাখব সেই টাকার উপর আফগানি দিতে হবে ব্য্ংক চালানোর জন্য ।এটা কোন দেশের আইন হলো। এটা ঠিক হলো না। রাশিয়ানা হতে হবে,আমি ট্যাক্স দিতে রাজি আছি, আমি চাই ট্যাক্স বাড়–ক,সরকার টাকা পাক টাকা না পেলে আমাদের ইনফেকটাকচার দেবে কি করে? কিন্তু কথা পজেটিভ। কিন্তু কথা হলো কিভাবে দেবে, কিভাবে ব্যয় করবে। আয়-ব্যয়ের মধ্যে স্বচ্ছতা থাকতে হবে, এটা হচ্ছে বড় কথা।

এই বাজেটে কি পেলেন ব্যবসায়ী হিসাবে
এক কথায় বলতে,এখন পর্যন্ত আমি এমন কিছু পাইনি ইনবেস্টমেন্ট বাড়ানোর মতো এমন কিছু ঘটেনি এ বাজেটে। শুধু একটা দিক ছিল বড় বাজেট ভিবিন্ন খাতে আমাদের টাকা দেওয়া হয়েছে এখন এক্ষেত্রে এটা বাড়ানো হবে কিনা সেটা খুশি। সর্বশেষ সরকারের কাছে আমার চাওয়া হলো করপোরেট ট্যাক্স কমানোর জন্য,আফগানি দিয়ে মানুষকে কষ্ট দেওয়া,এটা বন্ধ করার জন্য। ভ্যাট যেভাবে সরকার নিতে চাচ্ছে সেটাও চিন্তা করার জন্য। এখনও আমাদের দেশের লোক এত ধনী হয়নি যে ইনডাইরেক্ট ভ্যাটের বোঝা তারা নিতে পারবে। তাদের সময় দেওয়া দরকার।

সৈয়দ এরশাদ আহমেদ
সাবেক সভাপতি, আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ