ডিসেম্বরের মধ্যে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে জুনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনার খসড়া তৈরির কাজ শেষ করা হবে। আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে জাতীয় উৎপাদনশীলতা কার্যনির্বাহী কমিটির ১৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের(বিএসইসি)চেয়ারম্যান মোঃ রইছ উদ্দিন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের(বিএসএফআইসি)চেয়ারম্যান সনৎ কুমার সাহা, এনপিও’র পরিচালক নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, বিসিআইসি’র পরিচালক মোঃ শাহীন কামাল, নাসিব সভাপতি মির্জা নুরুল গণি শোভন এবং এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, বিসিআই, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন, বিকেএমইএ, বিটিএমসিসহ কমিটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ট্রেডবডির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্লান বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত হবে। দেশের শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সকলখাতে কাঙ্খিত পরিমাণে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে দশ বছর মেয়াদী ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় জানানো হয়, মেটেরিয়াল ফ্লো কস্ট একাউন্টিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাজশাহী, নাটোর ও নর্থবেঙ্গল সুগার মিলের উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধির কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের(এপিও)কারিগরি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষা চালিয়েছেন। চার ধাপে এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করে চিনিকলের উপজাত পুনরায় ব্যবহার, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানো হবে। পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য ১২টি চিনিকলেও এ পদ্ধতি অনুসরণ করে উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এনপিও’র উৎপাদনশীলতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা হয়। এ সময় তৃণমূল পর্যায়ে কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজন করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের উৎপাদনশীলতা বিষয়ে সচেতন করতে এনপিওকে নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’এর জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়াতে ভবিষ্যতে জেলা পর্যায়ে আবেদন প্রেরণ ও সংগ্রহের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। সভায় শিল্প সচিব আবদুল হালিম বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রোডাকশন চেইনের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে শিল্প-কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, জনবল ও সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান