ড্রিমলাইনার রাজহংস আসছে না বৃহস্পতিবার

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’ নির্দিষ্ট সময়ে দেশে আসছে না। এটি ছিল সম্পূর্ণ নতুন চতুর্থ ও শেষ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ।

কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, এটি বৃহস্পতিবার দেশে এসে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের ৪৮ ঘণ্টা পর ড্রিমলাইনারটি হস্তান্তর করবেন বলে জানা গেছে।

ফলে নির্দিষ্ট সময়ে ড্রিমলাইনারটি দেশে না আসায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক এটি উদ্বোধনের সময় বাতিল করা হয়েছে। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ড্রিমলাইনারটি উদ্বোধন করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিমান বাংলাদেশের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা বলেন, সিয়াটল কর্তৃপক্ষ হস্তান্তর করতে দেরি হওয়ায় ড্রিমলাইনারটি পূর্ব ঘোষিত সময়ে আসছে না। এটি ১৪ সেপ্টেম্বর বিকালে দেশে আসবে।

প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমরা যোগাযোগ করছি। আমরা আশা করছি তিনি আমাদের নতুন একটি সময় দিবেন।’

সূত্র জানায়, বিমানটি দেশে আনতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি প্রতিনিধিদল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির এভারটে ডেলিভারি ও অপারেশন্স সেন্টারে অবস্থান করছেন।

‘রাজহংস’ বিমান বহরে যুক্ত হতে যাওয়া চতুর্থ ড্রিমলাইনার। এই উড়োজাহাজটিসহ চারটি ড্রিমলাইনারেরই নাম পছন্দ ও বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো- আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।

টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ড্রিমলাইনার রাজহংস চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগবে। ‘রাজহংস’-এর আসন সংখ্যা ২৭১টি। বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সর্ম্পূণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধাও পাবেন।

এ উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬টি।

আজকের বাজার/এমএইচ