তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আসছে। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মাধ্যমে টার্কিশ এয়ারলাইনসে করে পেঁয়াজের প্রথম চালান ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মেঘনা গ্রুপ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মেঘনা গ্রুপের ডেপুটি ডিরেক্টর আসিফ ইকবাল বৃহস্পতিবার বলেন, “আমরা পেঁয়াজ আমদানি করে সরকারকে দেব। সরকার টিসিবির মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করবে।

“শুক্রবার এয়ারে আমাদের প্রথম চালানটি আসবে। এছাড়া সমুদ্র পথে আরও পেঁয়াজ আসবে।”

গত সেপ্টেম্বরে ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম আড়াইশ টাকায় উঠে যায়। পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে বিমানে করে পেঁয়াজ আনার ঘোষণা দেয় সরকার। বুধবার প্রথম পাকিস্তান থেকে ৮১ টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে।

মেঘনা গ্রুপের প্রথম চালানে কী পরিমাণ পেঁয়াজ আসছে জানতে চাইলে আসিফ ইকবাল বলেন, “এয়ারে তো খুব বেশি আনা যায় না। তবে মোটামুটি ভালোই আসবে।”

তাদের সব পেঁয়াজই তুরস্ক থেকে আমদানি করা হচ্ছে বলে জানান মেঘনা গ্রুপের শীর্ষ পর্যায়ের এই কর্মকর্তা।

এদিকে মেঘনা গ্রুপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সরকার ও ভোক্তা সাধারণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মেঘনা গ্রুপ। ২২ নভেম্বর শুক্রবার টার্কিশ এয়ারলাইন্সে মেঘনা গ্রুপের আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালান ঢাকা এসে পৌঁছাবে।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোস্তফা কামাল জানান, আরও ক’টি উড়াজাহাজে মেঘনা গ্রুপের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও মেঘনা গ্রুপের প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ সমুদ্র পথে জাহাজে করেও আগামী ১ ডিসম্বর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা শুরু হবে। যা পরবর্তীতে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কে হস্তান্তর করা হবে। এতে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন মেঘনা গ্রুপ চেয়ারম্যান।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এছাড়াও লবণ নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা নিয়ন্ত্রণে প্রতিহত করার জন্য মেঘনা গ্রুপ সরকারের সব স্তরের প্রশাসন, অন্যান্য প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান, পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতাদের সাথে সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে সংকট উত্তরণে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ‌‌

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান