থ্যালাসেমিয়ামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থ্যালাসেমিয়ামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর।
এ রোগ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
আগামীকাল ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক আমাদের গৃহীত উদ্যোগ প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি এবং মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গৃহীত কর্মসূচির ফলে শিশু মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আমরা ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, থ্যালাসেমিয়া জিন সমস্যাজনিত রোগ। পিতা-মাতা থেকে রক্তের হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জিনের ত্রুটিপূর্ণ সংমিশ্রণে সন্তানের শরীরে থ্যালাসেমিয়া বিস্তার লাভ করে।
সাধারণত ১ থেকে ৩ বছরের শিশুদের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এ রোগে আক্রান্ত শিশুদের শরীরে মারাত্মক রক্তশূন্যতা দেখা দেয়, ফলে ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর পর রোগাক্রান্ত শিশুদের শরীরে বাড়তি রক্তকণিকা যোগ করে রক্তের ঘাটতি পূরণ করতে হয়।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। বিয়ের পূর্বেই থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সহজেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
প্রতি বছরের মত বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৮ মে ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী থ্যালাসেমিয়া দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য- অনাগত সন্তানকে দিতে থ্যালাসেমিয়া থেকে সুরক্ষা, বিয়ের আগে করুন রক্তের ইলেকট্রোফোরেসিস পরীক্ষা’ যথার্থ হয়েছে উল্লেখ করে।
তিনি ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস-২০১৯’ এর সার্বিক সফলতা কামনা করেন।