এসএসএসিইআইএফ-২০১৯ শুরু হচ্ছে বুধবার, থাকছে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন

দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে চায় চীন

দ্য ২০১৯ সাউথ অ্যান্ড সাউথইস্ট এশিয়া কমোডিটি এক্সপো অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফেয়ার (এসএসএসিইআইএফ) শুরু হচ্ছে ১২ জুন। যার মাধ্যমে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগকে সংহত করার বিষয়ে বাস্তব পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে চায় চীন।

সোমবার চীনের দক্ষিণপশ্চিমের ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিংয়ে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর ঝেং গোওহু বলেন, ‘আমরা একটি ব্যবসাবান্ধব প্রথম শ্রেণির ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টিতে সব প্রচেষ্টা চালিয়েছি, যা ব্যবসাকে সুরক্ষিত এবং ব্যবসায়ীদের সমৃদ্ধ করবে।’

বৃহৎ এ প্রদর্শনী কুনমিং দিয়ানচি লেক ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১ লাখ ৭০ হাজার বর্গমিটারের প্রদর্শনী এলাকায় বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন প্যাভিলিয়ন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি (গ্রিন এনার্জি) প্যাভিলিয়ন ও বনজ পণ্যের প্যাভিলিয়নসহ ১৭টি প্যাভিলিয়ন এবং সাড়ে ৭ হাজার বুথ থাকবে।

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন প্যাভিলিয়নের লক্ষ্য হলো বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি দক্ষ যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অধীনে ব্যবসা শুরু, উন্নয়ন ও সুযোগ গ্রহণে ইউনানের সুবিধাগুলো ব্যাপকভাবে তুলে ধরা।

বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মন্ত্রীরা প্রদর্শনীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে তুলে ধরতে মেলায় সবচেয়ে বেশি দুই শতাধিক ভারতীয় বুথ থাকবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির সাথে আলাপকালে ইউনান প্রদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের উপ-মহাপরিচালক মা জুন বলেন, বাংলাদেশ এ প্রদর্শনীর খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং এখানে খুব সুন্দর একটি ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন’ থাকবে। তার আশা বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে।

ইউনান প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর আগে জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো মূলত অলংকার, গালিচা, মসলা, চা, বস্ত্র, হস্তশিল্প ও অন্যান্য বিশেষ পণ্য এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলো খাদ্য, পানীয়, অবসরের খাবার, ফল, সামুদ্রিক খাবার, কফি, প্রসাধনী, কাপড়, ফ্যাশন সামগ্রী, জাতীয় পোশাক, হস্তশিল্প, উপহার সামগ্রী, গৃহস্থালি পণ্য, অলংকার ও অন্যান্য বিশেষ পণ্যদ্রব্য প্রদর্শন করবে।

ডেপুটি গভর্নর গোওহু বলেন, এ বছর মেলায় ২.৬ বিলিয়ন ইউয়ানের বৈদেশিক তহবিলের প্রকল্পের পাশাপাশি ৬০০ বিনিয়ন ইউয়ানের প্রকল্প সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রদর্শনীতে প্রধানত ৬টি এলাকা থাকবে- থিম, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, আন্তর্জাতিক, দেশীয় ও অবিরাম চলতে থাকা সিএসএ এক্সপো।

এ বছর প্রথমবারের মতো মেলা এলাকায় বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন প্যাভিলিয়ন, গ্রিন এনার্জি প্যাভিলিয়ন, ফরেস্ট ইকো প্রোডাক্ট প্যাভিলিয়ন এবং ডিজিটাল ইউনান এক্সিভিশন এরিয়া থাকছে।

মেলায় ৭৩ দেশের ৩ হাজার ৩৪৮টি প্রতিষ্ঠান, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যবসায়ী নেতা ও বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকারের ১৬৭ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। এ বছর মেলার থিম কান্ট্রি শ্রীলঙ্কা এবং হোস্ট কান্ট্রি কম্বোডিয়া।

হুয়াওয়ে ও ব্যাংক অব চায়নার মতো প্রতিষ্ঠান বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন প্যাভিলিয়নে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তথ্যসূত্র-ইউএনবি।

আজকের বাজার/এমএইচ