দণ্ডপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর বরখাস্তের বিধান কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট

কোনও সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় এক বছরের অধিক মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে, দণ্ড আরোপের রায় বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে চাকরি হতে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হবেন- সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর এমন বিধান কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিম এবং বিচারপতি মো.ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার, রাষ্ট্রপতির কার্যাালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, লেজিসেলেটিভ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪২ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ রিট করা হয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি চাকরি বিধির আগের আইনে ছিলো কারাদণ্ড হলে চাকরি চলে যাবে। এখন কারাদণ্ড এক বছর করা হয়েছে। তার মানে এক বছরের কম সাজা হলে তার চাকরি যাবে না। আদালত অবমাননার আইনে বলা হয়েছে, ছয় মাস সাজা হলে চাকরি যাবে। এখন যদি এক বছরের সাজায় যদি চাকরি যাওয়ার আইন হয়, তাহলে আদালত অবমাননার সাজায় তো চাকরি যাবে না। শুনানির পর আজ আদালত রুল জারি করেছেন।’

সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪২ ধারায় এ বলা হয়েছে, (১) কোনো সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ড বা ১ (এক) বৎসর মেয়াদের অধিক মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে, উক্ত দণ্ড আরোপের রায় বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে চাকরি হতে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হইবেন।

(২) কোনও সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর মেয়াদের কোনো কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হলে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে নিম্নবর্ণিত যে কোনো দণ্ড আরোপ করতে পারবে, যথা:-(ক) তিরস্কার; (খ) নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ; (গ) নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ; অথবা (ঘ) কোনো আইন বা সরকারি আদেশ অমান্যকরণ অথবা কর্তব্যে ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সংঘটিত হলে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়।

আজকের বাজার/এমএইচ