দেশে আরও ২০ হাজার পেশাদার চাটার্ড একাউন্টেন্ট দরকার

‘আমার কথাই আমি বলি, আমি গতানুগতিক মানের একজন ছাত্র ছিলাম। স্কুল কলেজ পার হয়ে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসি তখন আমি, অর্থনীতি,আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আইন,ব্যবস্থাপনা ও একাউন্টিং এই পাঁচটা বিষয়ে আবেদন করেছিলাম। আমার টার্গেট ছিল একাউন্টিং পড়া। কিন্ত প্রথম সুযোগে আমি একাউন্টিং পাইনি। পড়ে ওয়েটিং লিস্ট থেকে একাউন্টিংয়ে সুযোগ পাই। আর সবার আগে আমি পাই অর্থনীতি। কিন্ত আমি অর্থনীতি নিয়ে পড়ি নি। কারণ আমার লক্ষ্যই ছিল, একাউন্টিং নিয়ে সিএ পড়া। আমার স্বপ্নই ছিল যে, আমি সিএ পড়ব। আর সে লক্ষ্য নিয়ে, আমি এগিয়ে এসে, আজ এখনকার অবস্থানে। এর একটাই কারণ ছিল তা হলো আমার লক্ষ্য, লক্ষ্য নিয়ে আমি নিরলস পরিশ্রম করেছি। আমি সরকারি চাকরি করতাম। অফিস শেষে আমি অন্যদিকে না গিয়ে সরাসরি লাইব্রেরিতে চলে যেতাম পড়ার জন্য। তার পর বাসায় যেতাম। এখানে একজনের কথা না বললেই নয়, তিঁনি আমার স্ত্রী। বিবাহিত জীবনের শুরুর দিকে তার সহযোগিতা না পেলে আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম না। তাঁর সহযোগিতায় আমি সিএ পাশ করতে পেরেছি। তো আমার মতো একজন ছাত্র যদি পাশ করে আসতে পারে, তা হলে আমি মনে করি যারা ভালো ছাত্র তাদের সম্ভাবনা তো আরো অনেক বেশি। তারা কেন পারবে না? তাদের সেভাবে একটু ডেডিকেশন নিয়ে আসতে হবে। তারা যদি এগিয়ে আসে তাহলে আজ আমাদের আঠারো’শো চার্টার্ড একাউন্টেন্ট থাকার বদলে আঠারো হাজার সিএ থাকতো। তাই আমি বলব, যারা মেধাবী তারা নিজের জীবনের জন্য যেন এই প্রফেশনকে বাছাই করে : সিএ বা চার্টার্ড একাউন্টেন্ট একটি পেশাদার পড়াশুনার বিষয়। এ বিষয়ে কথা বলেছেন এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হায়দার আহমেদ খান। আজকের বাজার ও আজকের বাজার টেলিভিশন এবি টিভির সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতার সারাংশ তাঁরই ভাষায় প্রকাশ করা হলো।

এ সময়ের চাটার্ড একাউন্টেন্সি
বর্তমানে চাটার্ড একাউন্টেন্সির দিক দিয়ে বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে। দিন দিন এর অগ্রগতি বাড়ছে। সে দিক দিয়ে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। চাটার্ড একাউন্টেন্সি প্রসারণের জন্য এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও জনশক্তির সমন্বয় ঠিকভাবে হচ্ছে না। সরকারের কাজও আমাদের করতে হচ্ছে। আমার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে একক মালিকানাধিন প্রতিষ্ঠান। এখানে প্রায় ৮০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী কাজ করছে। তাদের কাজের ফসলটাই কিন্ত আমি মনিটর করছি। তার মানে এই ৪০ জনের কাজের ওপরই নির্ভর করবে আমার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, আমার বাৎসরিক আয়। একই প্রক্রিয়া কিন্ত বাংলাদেশেরও। বাংলাদেশে অনেক মাল্টি লেভেল কোম্পানি আসছে। কেন আসছে? আমি একে নেতিবাচকভাবে না বলে জাতীয় স্বার্থে বলতে চাই। আমার যদি সামর্থ্য থাকতো, বাংলাদেশি ব্যাবসায়ীরা যদি মাল্টি ন্যাশনাল হতো। তাহলে কি হতো? তখন আমাদের ব্যবসা প্রসার হয়ে চলে যেত অন্যদেশে। কেন এমন হতো, কেবলমাত্র আমাদের সক্ষমতার জন্য। এই ক্যাপাসিটি বিল্ডআপটাই আমাদের দেশে অনেক ধরি গতিতে চলছে। আর এই পরিস্থিতিতে আমাদের যথাযথ জনশক্তির প্রয়োজন। দক্ষ জনশক্তির অভাবের জন্য বিদেশিরা আমাদের দেশে এসে চাকরি করছে। একইভাবে আমাদের ব্যবসা জগত সম্প্রসারণ বা ব্যাপকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। এর জন্য দক্ষ জনশক্তিকে আমি দায়ী করব। দক্ষ পেশাজীবীর অভাবেই বাংলাদেশের ব্যবসা যেভাবে এগিয়ে যাবার কথা, যেভাবে সম্প্রসারণ হওয়ার কথা, সেভাবে হচ্ছে না।

উদাহরণ দিয়ে বলি, আমাদের লিমিটেড কোম্পানির বেশ কম। ১৬ কোটি মানুষের দেশে এই সংখ্যা এক লাখের কিছু বের্শি। আর বেসরকারিভাবে তিরিশ চল্লিশ হাজারের মতো লিমিটেড কোম্পানি সক্রিয় আছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ব্যবসার বহিঃপ্রকাশ আসলে এভাবেই। সে অবস্থায় আমাদের যে পরিমাণ দক্ষ জনশক্তি দরকার তা আমরা পাচ্ছি না। ব্যাবসায়ীদের পক্ষে জনশক্তির উন্নয়ন বা তৈরি করা সম্ভব না। একটা মানুষ যখন একাডেমিক্যালি তার ক্যারিয়ারের উন্নতি ঘটায়, তখন কয়েকটা ধাপ তাকে অতিক্রম করতে হয়। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এভাবে। এটাই একজনের ক্যারিয়ারের উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট। এই ধাপ শেষ করার পর একজন ব্যক্তি চিন্তা করবে সে কোন দিকে যাবে। সে কি পিএইচডি করবে, সে কি ডাক্তার হবে, সে কি ইঞ্জিনিয়ার হবে, সে কি চার্টার একাউন্টেন্ট হবে নাকি সে ব্যাবসায়ী হবে? বিষয়টা এরকম। এই ধাপ পর্যন্ত আপনার ভিত্তি শক্ত হতে হবে। এ ধাপে এসে, আমরা এখন সত্যিকার অর্থে কেমন আছি, আল্লাই ভালো জনেন। আমার জানা মতে বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৭ ভাগ শিক্ষিত বেকার রয়েছে। আবার একই সাথে চার পাঁচ লাখ বিদেশি আমাদের দেশে এসে চাকরি করছে, কারণ তারা টেকনিক্যালি স্কিল্ড ও অভিজ্ঞ। তার মানে কী দাঁড়ালো? এই জায়গাটা আমরা চাইলে, আমাদের সেইসব শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েদের দিয়ে পূরণ করতে পারতাম। একইরকম অবস্থা আমাদের সিএ প্রফেশনেও চলছে।

আমাদের দরকার প্রায় ২০ হাজার সিএ, সেখানে রয়েছে মাত্র ১৮শর মতো। যার কারণে সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতি আক্রান্ত। আমি যদি সুন্দরভাবে ব্যাবসা পরিচালনা করি , এবং সংকোচন ব্যাবস্থা চালু করতে পারি। এরন্তুরোটা নির্ভর করবে দক্ষ জনশক্তির ওপর। তারা আমাকে একটা তথ্য দিবে, যার ওপর ভিত্তি করে আমি একটা প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরি করব। এটা ধরেই আমি বিনিয়োগে যাব। তার ওপরেই আমি আমার বিভিন্ন কাজকর্ম পরিচালিত করব। সেই কার্যক্রমের সাথে যদি তথ্যের মিল না থাকে তাহলে আমার ব্যাবসায় ক্ষতি হবে।

আর এর পুরোটাই নির্ভর করে দক্ষ সিএ’র উপর। আমরা যারা এই পেশায় আছি ,যাদের সিএ ফার্ম রয়েছে, তাদের প্রতিষ্ঠানে ছেলেমেয়েরা শিখতে আসে। পরে তারা নির্দিষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমে পাশ করে অনুমোদিত আকারে, একেকজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হয়। শুধু যে পাশ করে সেই না, যারা পাশ করতে পারে না, তাদেরও জানার মতো একটা অভিজ্ঞতা হয়। যার মাধ্যমে তারা কাজ-চাকরি করতে পারে। তার মানে হচ্ছে, এই সব প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান উদ্দ্যেশ্যই হলো, দক্ষ সিএ তৈরি করা। কিছুদিন আগে সরকার সারা দেশের প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয় থেকে বাছই করা বেশ কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি আইসিএ সামিট আয়োজন করেছে। এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। ছাত্র শিক্ষদের এই আয়োজনে আমাদের পেশা সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। অর্থনীতিতে আমাদের অবদান,আমাদের প্রয়োজন, আমাদের পেশায় আসতে কী দরকার-এসব নিয়ে তাদের সাথে আমাদের সুন্দর একটা মত-বিনিময় হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, এটা একটা পজিটিভ সাইন। এটা আমাদের উন্নয়নের একটা দিক, কিন্ত একমাত্র দিক না। আমাদের উন্নয়নের জন্য, দক্ষ জনশক্তি বাড়ানোর জন্য, আরো উদ্যোগ নিতে হবে।

যারা সিএ হতে চায়
ভালো প্রশ্ন। আমি সিএ হবো বলে সিদ্ধান্ত নিই ১৯৬৯ সালে, যখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। প্রত্যেক ছাত্র কিংবা মানুষের একটা স্বপ্ন থাকা দরকার। সেই স্বপ্নের ওপর নির্ভর করে তার ক্যারিয়ার। যে যত বড় স্বপ্ন দেখবে তার ফলাফল তত সুন্দর হবে। এভাবে যারা কমার্স নিয়ে পড়ে তাদের প্রত্যেকেরই উচিত একটা প্রফেশনাল ডিগ্রি নেয়া। এর মধ্যে অনেক বিভাজন আছে। একটা হলো চার্টার্ড একাউন্টেন্সি। তো এ বিষয়ে যারা আগ্রহী হবে তাদের দেশের অর্থনীতি, দেশের ব্যবসা বাণিজ্যসহ কিছু বিষয়ের ওপর একটা দখল রাখতে হবে। আমি এখানে বলবো, সৈয়দ ফজলে আলী সাহেবের কথা। উনি ফলিত পদার্থ বিদ্যায় ডিগ্রি নিয়ে তিনি একজন সফল সিএ হয়েছেন। উনি ছিলেন সফল একজন পেশাজীবী। এর মানে হলো, আপনি যে কমার্স পড়লেই সিএ হবেন তা নয়, আপনার যদি একটা ভালো ভিত্ থাকে তাহলেই হবে। অর্থনীতি, হিসাব বিদ্যা এগুলো এমন কঠিন কিছু না। আমি চাইলেই সায়েন্স পড়তে পারব না। এটা একটা নিয়মের মধ্যে পড়ে। কিন্ত কমার্সে সেটা নেই, এটা কমনসেন্স ও ইকোনমির সাথে সম্পর্কিত। এ কাজটা চাইলেই অনেকে করতে পারবে, এখানে বয়সের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তিন বছর চার বছর আর্টিক্যাল নিয়ে কাজ করলেন, সিলেবাস নিয়ে পড়লেন। সময় মতো পরীক্ষা দিলে পাশ করে গেলেই তো আপনি একজস সিএ প্রফেশনাল হয়ে যাবেন। যে কেউই একজন সফল সিএ প্রফেশনাল হতে পারেন।

অনেকেই সময়ের মধ্যে পাশ করতে পারছে না , কেন?
বিবেচনা করা যাক,একজনের কোর্স তিন বছরের আরেকজনের চার বছরের। যারা এইচএসসি পাশ করে আসে তাদের জন্য চার বছরের কোর্স। আর যারা ডিগ্রি পাশ করে আসে তাদের জন্য তিন বছরের কোর্স। আবার কিছু প্রফেশনাল সার্টিফিকেট আছে যাদের জন্য আলাদা ছাড় আছে। এর যে কোনো একটার ব্যাপারে আমি বলছি। যেমন, একজন ডিগ্রি পাশ করে এই প্রফেশনের জন্য আসলো। তার যদি পড়াশুনা আপ টু দা মার্ক হয়, তাহলে সে অনেক আগেই পাশ করতে পারবে। তবে, পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেই সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না। এর জন্য কোর্স কমপ্লিট করতে হবে। তার পর সার্টিফিকেট পাওয়ার পর সে চাকরিতে যেতে পারবে। কিন্ত তার কোর্স শেষ হবার আগ পর্যন্তই তাকে ফার্মে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। এরকম অনেক নজির রয়েছে। কেউ যে পাশ করতে পারে না তা কিন্ত না। সার্বিকভাবে কিছু ব্যাতিক্রম হয় তা বলতে পারি । তার জন্য শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও তাদের ক্যাপাসিটিও অনেকটা দায়ী।

আমার কথাই আমি বলি, আমি গতানুগতিক মানের একজন ছাত্র ছিলাম। স্কুল কলেজ পার হয়ে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসি তখন আমি, অর্থনীতি,আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আইন,ব্যবস্থাপনা ও একাউন্টিং এই পাঁচটা বিষয়ে আবেদন করেছিলাম। আমার টার্গেট ছিল একাউন্টিং পড়া। কিন্ত প্রথম সুযোগে আমি একাউন্টিং পাইনি। পড়ে ওয়েটিং লিস্ট থেকে একাউন্টিংয়ে সুযোগ পাই। আর সবার আগে আমি পাই অর্থনীতি। কিন্ত আমি অর্থনীতি নিয়ে পড়ি নি। কারণ আমার লক্ষ্যই ছিল একাউন্টিং নিয়ে সিএ পড়া। আমার স্বপ্নই ছিল যে আমি সিএ পড়ব। আর সে লক্ষ্য নিয়ে আমি এগিয়ে এসে এখনকার অবস্থানে। এর একটাই কারণ ছিল তা হলো আমার লক্ষ্য, লক্ষ্য নিয়ে আমি নিরলস পরিশ্রম করেছি। আমি সরকারি চাকরি করতাম। অফিস শেষে আমি অন্যদিকে না গিয়ে সরাসরি লাইব্রেরিতে চলে যেতাম পড়ার জন্য। তার পর বাসায় যেতাম। এখানে একজনের কথা না বললেই নয়, তিঁনি আমার স্ত্রী। বিবাহিত জীবনের শুরুর দিকে তার সহযোগিতা না পেলে আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম না। তাঁর সহযোগিতায় আমি সিএ পাশ করতে পেরেছি। তো আমার মতো একজন ছাত্র যদি পাশ করে আসতে পারে, তা হলে আমি মনে করি যারা ভালো ছাত্র তাদের সম্ভাবনা তো আরো অনেক বেশি। তারা কেন পারবে না? তাদের সেভাবে একটু ডেডিকেশন নিয়ে আসতে হবে। তারা যদি এগিয়ে আসে তাহলে আজ আমাদের আঠারো’শো চার্টার্ড একাউন্টেন্ট থাকার বদলে আঠারো হাজার সিএ থাকতো। তাই আমি বলব, যারা মেধাবী তারা নিজের জীবনের জন্য যেন এই প্রফেশনটাকে বাছাই করে ।

সিএ পড়ার উৎসাহ ও ঝিমিয়ে পড়া
এখানে একটা টেকনিক্যাল অসুবিধা আছে। এটা হলো, একজন ছাত্র তিন বা চার বছরের কোর্স শেষ করার পর কোথাও ভালো বেতনের একটা চাকরি পেয়ে গেল। তখন সে সময়ের জন্য এ ব্যাপারটা তার কাছে খুব প্রয়োজনীয় মনে হলো। এর সঙ্গে কিন্ত ক্যারিয়ার বিল্ডআপের একটা ব্যাপার রয়েছে। সে যদি খুব ব্যাস্ত একটা প্রতিষ্ঠানে, ভালো বেতনে, ভালো পজিশনে কাজ করে তাহলে তার দায়িত্ব তখন অনেক বেশি হয়। তখন তাকে প্রতিনিয়ত ওই অফিসের কাজের চিন্তাই করতে হবে। তখন সে সারাদিন ব্যস্ততার কারণে পড়ালেখায় সময় নাও দিতে পারে। সে যদি স্কিল্ড হয়, টেক্টফুল হয় তাহলে হয়তো সে পারবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় আপনাকে ম্যানেজ করে হলেও প্র্যাকটিসে থাকতে হবে। ঘরে বসে সারাদিন আপনি পড়াশুনা করে গেলেন, কিন্ত বাস্তবিকভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজে থাকলেন না, তা হলে কিন্ত পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন না। কারণ আপনাকে বাস্তব কাজেরও অভিজ্ঞতা রাখতে হবে। বুঝতে হবে, এটা একটা প্রফেশনাল পরীক্ষা।

আমার প্রতিষ্ঠানে ছাত্র নির্বাচনের কৌশল
আমরা আমাদের ফার্মকে পেশাদারভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করি। যদিও আমাদের প্রতিষ্ঠান অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো বড় না । আমাদের খুব বেশি ক্লায়েন্টও নাই। তার পরও আমরা চেষ্টা করি, একটা নির্দিষ্ট মান বজায় রেখে চলতে। আমরা যদি খুব ওয়েল রেপোটেড হতাম তাহলে আমাদের ক্লায়েন্টের সংখ্যা অনেক বেশি হতো।

এই পেশায় কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমাদের এই পেশা অর্থনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। কেউ যদি অর্থনীতি পড়ে এই পেশায় আসে তাহলে তার জন্য এই পেশা অনেক সহজ হবে। একজন ছাত্রের কমনসেন্স সম্পন্ন থাকা জরুরি। থাকা দরকার জেনারেল নলেজ । এটুকু যদি পাওয়া যায় তাহলে আমরা তাকে নিয়ে নিই। এবং তারা শিক্ষা ও প্রফেশনে ভালোও করে।

হায়দার আহমেদ খান
চেয়ারম্যান
এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন