দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬৬০

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৬০ জনে।এছাড়া, নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৭৪ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৯ জনে পৌঁছেছে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রবিবার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, করোনা শনাক্তের জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ১৮৯টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৮৬৬টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৮টি।নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০.৭৪ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭.৯৬ শতাংশ।

নতুন যে ১৪ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ এবং নারী ২ জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৩৫৭ জন বা ৭৬.৯৮ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৩০৩ জন বা ২৩.০২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।

এদিকে, আরও ১ হাজার ৬৭৪ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৮.২৩ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

বিশ্ব পরিস্থিতি:

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে ১১ লাখ ৮ হাজার ৬০৭ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।

জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৭২ লাখ ৬ হাজার ৭৭৭ জন।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৮১ লাখ ২ হাজার ১৪২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২ লাখ ১৯ হাজার ১৫৭ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৩২ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন এক লাখ ১২ হাজার ৯৯৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬৫ লাখ ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ।ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ লাখ ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। মারা গেছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৫ জন।