দেশে প্লাস্টিক চাল তৈরি কোনোক্রমেই সম্ভব নয়: কৃষিমন্ত্রী

দেশে প্লাস্টিকের চাল তৈরির বিষয়টি অবাস্তব দাবি করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্লাষ্টিকের চালের বিষয়টি অসম্ভব, এটি কোনোক্রমেই হতেই পারে না।’

তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিকের চালের খবরের কোনো ভিত্তি নেই। আমি জেলা প্রশাসক (ডিসি), ডেপুটি ডিরেক্টরের (কৃষি) সঙ্গে কথা বলেছি, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেই চাল এনে রান্না করা থেকে শুরু করে মুড়ি বানানো পর্যন্ত হয়েছে। প্লাস্টিকের চাল কোনোক্রমেই বাস্তবসম্মত না।’

বুধবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সাথে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি গাইবান্ধায় প্লাস্টিকের চাল পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে বিষয়টি নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো কি করে মানুষকে পুষ্টিসম্মত খাওয়াতে পারি এবং কিভাবে নিরাপত্তা বাড়ে। নির্বাচনী ইশতেহারেও এটাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটা বড় আধুনিক ল্যাবরেটরি করার ঘোষণা দিয়েছেন, যেখানে খাদ্যে ভেজাল দ্রুত নির্ণয় করা যায়। এছাড়া আট বিভাগে আরও আটটি ল্যাব করা হবে। এসব ল্যাবরেটরিতে যন্ত্র চালানোর জন্য প্রশিক্ষিত জনবল দরকার। সেজন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা বলেছি ইউএসএআইডি এর মাধ্যমে তাদের কাছে আমরা সহযোগিতা চাই। প্রযুক্তিগত ল্যাবরেটরি স্থাপন করাসহ বিভিন্ন সহযোগিতার কথা তারা বলেছে। তারা জানিয়েছে আমরা অবশ্যই অতীতেও আপনাদের পাশে ছিলাম। কৃষিতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’

রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে কোন দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। সেটি অনেকটা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এখন যখন তখন আর হরতাল-অবরোধ হবে না। যা উন্নয়নের জন্য খুবই সহায়ক।

কৃষিমন্ত্রী বলেন,‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে এবং বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে।’

তথ্যসূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ