ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, বর্তমান সরকারের যথার্থ ও সময়োপযোগি পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে আজ সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান সুনিশ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ গতকাল বুধবার লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন আয়োজিত ‘চ্যাম্পপিয়নিং রিলিজিয়াস হারমনি : প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনার ভিশনারি ইনিসিয়েটিভ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের প্রতিনিধিত্বকারী বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সৌজন্যে হাই-কমিশনের উদ্যোগে এ বিশেষ আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অনুযায়ি “সোনার বাংলা” হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বর্তমান ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলীর উল্লেখ করে শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন,‘সোস্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ঘোলা পানির মধ্যে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এর সাথে সত্যিকারের আলেম-ওলামাদের কোনো সম্পর্ক নেই। ’
তিনি বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বড় শক্তি মনে করেন। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে পারে সেই পরিবেশ তাঁর (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বাধীন সরকার নিশ্চিত করেছে। সব ধর্মের মানুষকে সমান সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। আর এটাই হচ্ছে ধর্ম-নিরপেক্ষতা। কিন্তু এখনও কেউ কেউ ধর্ম-নিরপেক্ষতার বিষয়টির অপব্যাখ্যা করছেন।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে বাংলাদেশে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে অনন্য নজির স্থাপিত হয়েছে, তা সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ হাই কমিশন যুক্তরাজ্যে কাজ করছে। আজকের এ অনুষ্ঠানকে তারই ধারাবহিকতার একটি অংশ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।
হাইকমিশনার যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের এই ভাবমূর্তি আরো উজ্জল করার জন্য বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের প্রতিনিধিত্বকারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দকে বিশেষ ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবিএম আব্দুল্লাহ নূরী অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
লন্ডন ও বার্মিংহামসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরের মসজিদের বাংলাদেশি-ব্রিটিশ ইমাম ও মাওলানা এবং ব্রিকলেন জামে মসজিদ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্দ-খ্রিস্টান ইউনিটি, সেকুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট, বাংলাদেশ ক্রিস্টান কমিউনিটি, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট কমিউনিটি, ইউনাইটেড হিন্দু কালচার এ্যাসোসিয়েশন,ওম শান্তি এ্যাসোসিয়েশন, সার্বজনীন বাবা লোকনাথ এ্যাসোসিয়েশন, ব্রিকলেন ফিউনারেল সার্ভিস এবং হজ সংক্রান্ত ট্রাভেল এজেন্টের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সর্বধর্মের প্রতিনিধিদের জন্য প্রথমবারে মতো এরকম সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য তারা হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।তথ্য:বাসস।
আজকের বাজার/আখনূর রহমান
