নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ নভেম্বর

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের আংশিক শুনানি হওয়ার পর বিচারক এ আদেশ দেন।

আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী তাঁর অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে শুনানি পেছানোর আবেদন করলেও তা মঞ্জুর করেননি বিচারক মাহমুদুল কবির। পরবর্তী সময়ে আজকে মামলার আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে শুনানি শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন তিনিও সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু এর বিরোধিতা করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

এই পর্যায়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। পরে তিনি মুলতবি প্রার্থনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার বয়স ৮১ বছর। আমি অসুস্থ। আমার যে জুনিয়র, তাঁর নানি মারা গেছেন। এই কারণে তিনি গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। মামলার সব কাগজপত্র তাঁর কাছেই রয়েছে। ফলে দীর্ঘক্ষণ মামলা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে আমি আজকে মামলার মুলতবি চাচ্ছি।’

পরে আদালত আগামী ১৪ নভেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত মামলার শুনানি মুলতবি করেন। আজকে মামলার শুনানির সময় আদালতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে দলের মহাসচিব আদালতের ভেতর আধা ঘণ্টা মামলার বিষয়ে কথা বলতে চান উল্লেখ করে সময় প্রার্থনা করেন।

কিন্তু বিচারক এই আবেদন মঞ্জুর করেননি। তিনি বলেন, ‘এই এখতিয়ার আমার নেই। আপনি প্রয়োজনে এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তিনি এ ব্যাপারে আইনি ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।’

এর পরই খালেদা জিয়াকে ভেতরে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে সেখান থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসাসেবা শেষ না করেই তাঁকে জোর করে হাসপাতাল থেকে পুনরায় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখনো অসুস্থ। এটা নিন্দনীয়। এটা অমানবিক।

উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাচত্বরে গাড়িবহর পৌঁছায় দুপুর ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে। এরপর ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। খালেদা জিয়া একটি অফ-হোয়াইট শাড়ি পরে হুইলচেয়ারে করে আদালত চত্বরে আসেন। তাঁকে এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা সহায়তা করেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর গৃহকর্মী ফাতেমা ছিলেন।

আজকের বাজার/এমএইচ