নুসরাতকে হত্যার নির্দেশদাতা অধ্যক্ষ সিরাজ, পরিকল্পনা শাহাদাতের

ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার দুটি কারণ খুঁজে পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই জানিয়েছে, অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার কুকীর্তির প্রতিবাদ এবং শাহাদাত হোসেন শামিম নামে একজনের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। কারাগার থেকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা। তার নির্দেশ মোতাবেক নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শাহাদাত হোসেন শামিম।

পিবিআইর উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার এসব তথ্য জানিয়েছেন। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান কার্যালয়ে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, শামিমকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী বোরকা পরিহিত চারজন ভবনের ছাদে নুসরাত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়। এর মধ্যে কমপক্ষে একজন মেয়ে ছিল। হত্যাকাণ্ড পরিচালনায় এখন পর্যন্ত দুজন মেয়েসহ ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই।

গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এ সময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।

আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত বুধবার মারা যায়।

নুসরাতের পরিবারের অভিযোগ, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তারই জেরে মামলা করায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়।

মামলার পর সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ