পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ ব্যাংকের চেয়ে বেশি লাভ করা সম্ভব

পুঁজিবাজারে জেনে বুঝে বিনিয়োগ করলে ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিটের চেয়ে বেশি লাভ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ডিবিএ-বাংলাদেশ এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশতাক আহমেদ সাদেক। বর্তমান পুঁজিবাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন,ব্যাংকের ইপিএসে ভালো ঘোষণা আসে তাই বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি আগ্রহী বেশি। সেক্টর ওয়াইজ শেয়ারের দাম কেন বাড়ছে ? বিশেষ করে ব্যাংক সেক্টরের কারণ এই খাতের শেয়ারের দাম দীর্ঘ সময় একজায়গায় পড়েছিল। প্রফিট টেক করেছে আবার কমছে, আবার প্রফিট টেক করেছে। তবে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলো একটা জায়গায় চলে গেছে, তাই অনেকেই সেখানে বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছেনা। ব্যাংকের শেয়ারের দর তুলনামূলক কম থাকায় চাহিদা একটু বেশি। ব্যাংকগুলো নিয়মিত বোনাস দেওয়ার কারণেও বিনিয়োগকারিদের আস্থার জায়গায় রয়েছে । তাই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের মধ্যে ব্যাংকের মুভমেন্ট হচ্ছে। তুলনামূলক বস্ত্র খাতের কিছু কিছু ভালো নিউজ আছে পাশাপাশি ভালো খবরও আছে। কিন্তু সব ব্যাংকই যে ভালো সেটাও নয়। নন ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিটের মধ্যে কোনটা খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। তবে মার্কেটে প্রফিট টেকিং হচ্ছে তাই আতংকিত হওয়ার কিছুই নেই।

তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে সেক্টর ভিত্তিক সুইচিং হচ্ছে, অর্থাৎ খাত ভিত্তিক পরিবর্তন হচ্ছে। মার্কেট তার নিজস্ব গতিতেই চলছে, মার্কেট এভাবেই চলে এবং চলবে। একটা সময় পাওয়ার খাতে তেমন মুভমেন্ট দেখা যায়নি কিন্তু এখন একটু মুভমেন্ট হচ্ছে। মার্কেট লং রানে এগুচ্ছে বলে ধারণা করেন তিনি । টার্নওভার সবসময় একই রকম হবেনা এটা স্বাভাবিক বিষয় । বিদেশি বিনিয়োগের লেনদেন হলে একটু বাড়ে আবার না হলে একটু কমে এর বেশি কিছু না। ছোট পুঁজির শেয়ারগুলোতে কেউ কেউ বিনিয়োগ করছে হয়তো এটাও একটা পর্যায়ে থাকবেনা। বাজারের সাধারণ গ্রামার এটিই ।

তিনি বলেন, এখন বিনিয়োগকারীদের ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রামের মাধ্যমে, সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্রতিটি হাউজে যে সচেতনতা সৃষ্টি করছে, তার ফলে বাজার আরো ভালোর দিকে যাবে। মার্কেট তার নিজস্ব গতিতে চলে এবং কেউ চাইলেই মার্কেট ফেলতে পারেনা কারণ মার্কেট এখন অনেক বড় হয়েছে। কেউ যদি রাস্তায় গুজব শুনে বা লিফটে শুনে বিনিয়োগ করে সেটার জন্য তো অন্য কেউ দায়ি না। যে কোম্পানি-মালিক সাজাপ্রাপ্ত এবং ঋণখেলাপি তার কোম্পানির শেয়ার কিনলে তো ক্ষতি হবেই। তাই পুঁজিবাজারে ভালো করতে হলে অবশ্যই সব কিছু জেনেই বিনিয়োগ করতে হবে।