পুঁজিবাজারে আসছে ওয়ালটন

দেশের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। খুব শিগগিরই বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) যাচ্ছে ওয়ালটন।

কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আগামি ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি রোড শো আয়োজন করেছে। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রাজধানীর ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ওয়ালটনের করপোরেট অফিসে রোড শো অনুষ্ঠিত হবে। বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচিতি, আর্থিক অবস্থা, ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং আইপিও সংক্রান্ত নানা বিষয় তুলে ধরা হবে এই রোড শোতে। পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থ ওয়ালটনের কারখানার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, গবেষণা ও মানউন্নয়ন, ব্যাংক লোনের আংশিক দায় পরিশোধ এবং আইপিও খরচ বাবদ ব্যয় করা হবে।
প্রতিষ্ঠানটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ট্রিপল এ ফাইনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ।

বড় মূলধনী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের আইপিও পুঁজিবাজারের জন্য একটি মাইলফলক হবে। কারণ প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি টাকা আর অবন্টিত মুনাফা হিসেবে রিজার্ভে আছে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।  ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস এসেছে ১০ টাকা ৪১ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাড়িয়েছে ২০৮ টাকায়।

আর পুঁজিবাজারে আসার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বলেন, ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বের সেরা ব্র্যান্ড হতে রোডম্যাপ তৈরি করেছে ওয়ালটন। অংশ নিচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সব প্রতিযোগিতায়।ওয়ালটনের এই অগ্রগতিতে সাধারণ জনগণের সামিল হওয়ার লক্ষ্যেই পুঁজিবাজারে আসা।

ওয়ালটন দেশের খুবই জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। প্রতিষ্ঠানটি টেলিভিশন, ফ্রিজ, মাইক্রোওভেন, এয়ারকন্ডিশন, ল্যাপটপ, মোবাইলফোনসহ নানা ধরনের ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স তৈরি করে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবার সাথে মানুষের যোগাযোগ দৈনন্দিন জীবনের সাথে যুক্ত সেবিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি থাকে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, গ্রামীণফোনের পর এটিই হবে দেশের পুঁজিবাজারে সবচেয়ে আলোচিত আইপিও।

 

 

আজকের বাজার/মিথিলা