ফণী’তে ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমি আক্রান্ত : কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারণে দেশের প্রায় ৩৫টি জেলার ২০৯টি উপজেলায় বোরো ধান, ভুট্টা, সব্জী, পাট, পান ফসলসহ প্রায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়। এসব আক্রান্ত ফসলের আর্থিক ক্ষতি ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার ৫ শত টাকা।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্নিঝড় ‘ফণি’র কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পুনর্বাসন কর্মসূচি এবং গৃহীত পদক্ষেপ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিং এ একথা ঁজানিয়ে বলেন, ঘূর্নিঝড় ‘ফণি’র কারনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বীজ, সার ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আক্রান্ত জেলার ধানের ক্ষেত্রে ২ ভাগ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সজীর ক্ষেত্রে ৯ ভাগ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ভুট্টার ক্ষেত্রে ১৫ভাগ, পাটের ৫ভাগ এবং পানের ক্ষেত্রে ১ভাগ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

কর্মকর্তারা মাঠে কৃষকদের শতকরা ৮০ ভাগ পরিপক্ক ধান কেটে নেয়া ও রবি ভুট্টা ফসল সংগ্রহ এবং খরিপ-১ মৌসুমের বপন যোগ্য ফসলের বীজ বপন না করার পরামর্শ প্রদান করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, হেলে পড়া পরিপক্ক বোরো ধান দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
এ ছাড়াও জলাবদ্ধতার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ আউশ ক্ষেতে গ্যাপ পূরণের জন্য ঘনগোছা থেকে চারা উত্তোলন করে ফাঁকা জায়গায় রোপনের পরামর্শ প্রদান ও সবজি ক্ষেতের জমে থাকা পানি দ্রুত নিস্কাশনের এবং নষ্ট হওয়া গাছের গোড়ায় নতুন চারা লাগিয়ে শূন্য স্থান পূরণ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পরবর্তী খরিপ’ ২০১৯-২০ মৌসুমে রোপা আমন ধানের বীজ অথবা চারা উৎপাদন, বিতরণ ও মাসকলাই বীজ বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। রবি-২০১৯-২০ মৌসুমে বিনামূল্যে বোরো ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম. মুগ চাষের জন্য বীজ ও সার বিতরণের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি নেয়া হবে। এছাড়াও শীতকালীন সব্জী চাষের জন্য পারিবারিক পুষ্টির অংশ হিসেবে বিনামূল্যে বিভিন্ন সব্জী বীজ বিতরণ করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি ও জনবান্ধব সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেও এদেশের কৃষি এগিয়ে যাচ্ছে। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আঘাত হানার পূর্বাভাস পাওয়ার সাথে সাথে কৃষি ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড় এর পূর্বকালীন, চলাকালীন ও আাঘাত হানার পরবর্তী ৩ পর্যায়ের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত সচিব সনৎ কুমার সাহা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলমসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।