বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তে ৩৫ কিমি যানজট। ঈদযাত্রার শেষ দিনে এমন স্থবির হয়ে থাকা মহাসড়কে যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির মধ্যে বসে থেকে আর অতি গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন নারী-শিশুসহ ঈদে ঘরমুখো মানুষ। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বেশ কষ্ট পাচ্ছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা ৪০ মিনিটে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে মির্জাপুরের গোড়াই পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোর থেকে এই মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলাচলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এদিকে তীব্র যানজটের কারণে যাত্রীরা বিক্ষব্ধ হয়ে মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

পুলিশ জানায়, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ বার বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতুর ওপরে লক্কর-ঝক্কর বেশ কয়েকটি গাড়ি বিকল হয় এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের সিরাজগঞ্জ অংশ গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে না চলায় টোল বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। আর এতেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
যানজট নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। তবে কয়েকটি স্থানে গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মহাসড়কের দু’টি স্থানে গাড়ি বিকল হলে রেকার দিয়ে সরিয়ে নেয় পুলিশ। এছাড়াও বৃষ্টিপাতের কারণে ও এলেঙ্গায় দুই লেনের সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় এখানে গাড়ির গতি কমে আসে। এর ফলে গাড়িগুলো ঠিকমতো টানতে পারে না।

অপরদিকে যানবাহনের বাড়তি চাপ এবং চালকদের প্রতিযোগিতা ও খেয়াল খুশিমত গাড়ি চালানোর কারণে এ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। শুক্রবারও দিনভর থেমে গাড়ি চলাচল করেছে। তবে শনিবার ভোর থেকে আরো খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়। দশ হাত চললে আবার প্রায় এক-দেড় ঘণ্টা গাড়ি আটকে থেকেছে। এর ধারাবাহিকতা শনিবার দিন-রাতে অব্যাহত থাকে। আর এই যানজট রোববার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে।

 

আজকের বাজার/মিথিলা