বন্যায় বগুড়ায় পৌনে ২শ’ কোটি টাকার পাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

এবারের মাসব্যাপী বন্যায় জেলার পাট চাষীদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। বন্যায় পাটের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না পেরে হতাশ জেলার বন্যা কবলিত পাট উৎপাদন অঞ্চল সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার কৃষকরা। বন্যার ফলে কঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছানোর আশংকা করছে কৃষি বিভাগ। এবার বন্যায় বগুড়ায় প্রায় পৌনে ২শ’ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এমন তথ্য দিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
এবার জেলায় ১৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার হেক্টর কম জমিতে পাট চাষ হয়েছে। জেলায় এবার ১২ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয় । লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে পাট চাষ হওয়ার পরেও মাস ব্যাপী বন্যার আঘাতে কৃষকের স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে। ৮ হাজার ৬৮৯ হেক্টর জমির পাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পাট নষ্ট হয়ে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ্উপ-পরিচালক নিখিল চন্দ্র বিশ্বস জানান, এবার জেলায় পাটে ১৭৩ কোটি ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৪১ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা এখন সম্ভব নয়। জেলায় মোট উৎপাদনের ৯০ শতাংশ পাট সোনাতলা সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় উৎপাদন হয়ে থাকে।
বগুড়ায় পাটের যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সেই পরিমান অর্থ চাহিদার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ্উপ-পরিচালক চাহিদা পত্রের সমুদয় টাকা পাওয়ার ব্যাপারে আ্শাবাদী।
এদিকে জেলার বগুড়া ভান্ডার জুট মিলের সত্বাধীকারি আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন জানান, গত বছর বগুড়ায় পাট ১৭শ’ থেকে ২ হাজার টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হয়েছে। এবার দেশের উন্নতমানের পাট উৎপাদন অঞ্চল বন্যা কবলিত হয়নি। ফলে গত বছরের তুলনায় পাটের দামের হেরফের হবে না । অন্য দেশে পাট রফতানি করলে পাটের সংকট দেখা দিবে। পাটের দাম বেশি হলে বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে ওঠা পাটকল গুলো পাট সংকটে পড়বে।