বাংলাদেশ বিদ্যুতায়নে অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে: বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশ বিদ্যুতায়নে অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের ফলশ্রুতিতে বর্তমান বিদ্যুৎ পরিষেবায় হার হচ্ছে ৯৩ শতাংশ।

বিশ্ব ব্যাংকের সম্প্রতি প্রকাশিত জ্বালানি অগ্রগতি প্রতিবেদন ২০১৯-এ বলা হয়েছে যে, অধিক জনসংখ্যার দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ, কেনিয়া, মিয়ানমার ও সুদানের বিদ্যুৎ পরিষেবার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে।

এতে বলা হয়, বৈশ্বিক বিদ্যুৎতায়নের হার ৮৯ শতাংশে পৌঁছেছে। বিদ্যুৎ সেবা বঞ্চিত মানুষের সংখ্যা ২০১৬ সালে ১ বিলিয়ন ও ২০১০ সালে ১.২ বিলিয়ন থেকে ৮৪০ মিলিয়ন কমেছে। খবর বাসস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার বাস্তবভিত্তিক রোডম্যাপের কারণে বাংলাদেশে এই বিশাল সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ এখন আর একটি কল্পনা নয়। এটি আজ বাস্তবতা যে এখন ৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। যা ২০০৯ সালের আগে ছিল ৪৭ শতাংশ।

সংশ্লিষ্ট তথ্যানুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২১,৪১৯ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। সংযোগ বেড়ে হয়েছে ৩.৩২ কোটি। বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০।

জ্বালানি অগ্রগতি প্রতিবেদনে একথাও বলা হয় যে, এই অগ্রগতি সত্ত্বেও দুর্বল সংযোগ ও আরবান গ্রীডে অধিক চাপ এবং বাস্তুচ্যুত মানুষ ও দুর্গম এলাকার কারণে ২০৩০ সালেও ৬৫০ মিলিয়ন মানুষ বিদ্যুৎ পরিষেবার বাইরে থাকবে।

অধিক জনসংখ্যার দেশের মধ্যে বাংলাদেশ, কেনিয়া, মিয়ানমার ও সুদান সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি অর্জন করেছে। স্বল্প অগ্রগতির দেশের মধ্যে রয়েছে- দক্ষিণ সুদান, গিনি-বিসাউ ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র। ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর এসব দেশে অগ্রগতির হার হচ্ছে প্রায় ৩ শতাংশ।

বিদ্যুৎখাতের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার, দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি পরিকল্পনা, বেসরকারি অর্থায়ন বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় পলিসি ও আর্থিক প্রণোদনা।

আজকের বাজার/এমএইচ