বান্দরবানের সাথে চট্টগামের সড়ক যোগাযোগ তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে

বান্দরবান কেরানীহাট-চট্টগ্রাম সড়কের সাতকানিয়া অংশের বড়দুয়ারা এলাকায় সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ আজ তৃতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বান্দরবান কেরানীহাট সড়কের বড়দুয়ারার এলাকায় প্রায় আধ কিলোমিটার সড়ক ডুবন্ত। মানুষ পার হচ্ছেন ডুবু ডুবু ভ্যান আর নৌকা যোগে। রাস্তার দুপাশে অসংখ্যা ছোট বড় গাড়ির জট।
ডুবন্ত সড়ক পারি দিতে গিয়ে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে আসা ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, কাপড় চোপড় ভিজে গেছে। ডুবন্ত সড়ক পারি দিয়ে আসলাম। প্রতি বছরই এ সময়ে এ সড়ক ডুবে যায়।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জামাল হোসেন জানান, তিন দিন যাবত সড়ক ডুবা। ২০টাকা দিয়ে ভ্যানে করে সড়ক পার হচ্ছি। অফিস তো করতে হবে।
পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝুন্টু দাশ জানান, প্রতি বছরেই এ সময় আসলে সড়কটি ডুবে যায়। ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হয়।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সজীব আহম্মদ বলেন, আগে বান্দরবান কেরানীহাট সড়কের বিভিন্ন অংশে জলাবদ্ধতা দেখা দিত। তবে সড়কটির বিভিন্ন অংশ উঁচু করার কারণে বর্তমানে বড়দুয়ারায় দুটি ও দস্তিদারহাটে একটি অংশে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় ।
তিনি আরো জানান, সওজের তৈরি করা এবং সেনাবাহিনীর বাস্তবায়নাধীন বান্দরবান-কেরানীহাট মহাসড়ক প্রকল্পে ১৮ ফুটের সড়ক ২৪ ফুট প্রশস্ত এবং নিচু অংশগুলো উঁচু করা হবে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধিতে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বান্দরবান সদরের শেরেবাংলা নগর, হাফেজঘোনা, ইসলামপুর, লাঙ্গিপাড়া, ওয়াপদা ব্রিজ, মিসকি সেতু ও বাসস্টেশনসহ নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে। শহরের আর্মিপাড়ার বাড়িগুলো কোমর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ইসলামপুর ও শেরে বাংলা নগরের বাড়িগুলোর চালের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র।
এদিকে লামা উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, লামা পৌরসভার নয়া পাড়া, উপজেলা কোয়াটার, চেয়ারম্যান পাড়া, বাস স্টেশন, বাজার এলাকা, বড় নুনারবিল, লাইনঝিরি, শিলেরতুয়া, কলিঙ্গাবিল, লামামুখ ও ছোট নুনারবিল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম হোসেন জানিয়েছেন, বান্দরবানে ১২৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।