বিআরটিডব্লিউ থেকে বছরে ১৯ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

নিবন্ধন ও লাইসেন্স না থাকায় ব্যাটারি রান থ্রি হুইলার(বিআরটিডব্লিউ) খাত থেকে বছরে ১৯কোটি ২৫লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
গত ১৩মার্চ, বুধবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল আমারিতে ‘ডায়লগ অন প্রসপেক্টস অ্যান্ড পলিসি অফ ইলেক্ট্রিক ভিহিক্যালস ভেহিক্যালস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভায় এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের(বিল্ড) অ্যাডিশনাল রিচার্স ফেলো তামিম জামী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে দেশের সড়কগুলোতে ১০ লাখ বিআরটিডব্লিউ চলে। তাতে ১০লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। দিনদিন এই সেক্টরের পরিধি বাড়ছে। এসডি ১১ লক্ষ্যগুলো টেকসই শহর ও কমিউনিটির জন্য এ খাত বড় ভূমিকা রাখবে।
বিআরটিডব্লিউ গুলোকে সঠিকভাবে নিবন্ধন, নিয়ন্ত্রণ, লাইসেন্স ফি, রুট পারমিটের আওতায় আনতে পারলে সরকার এ খাত থেকে বছরে ১৯কোটি ২৫ লাখ টাকা রাজস্ব পাবে। এখন ৫টি জেলায় ৫২হাজার বিআরটিডব্লিউতে ৫৮ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।বিআরটিডবিøউতে ভ্রমণ ব্যয়ে রিকশার এক চতুর্থাংশ এবং সিএনজির অর্ধেক। এছাড়াও বিআরটিডব্লিউ রিক্সা এবং সিএনজি অপেক্ষা বেশি যাত্রী বহন করে।
গবেষণার বলা হয়, বাংলাদেশ ৪টি শহরে বায়ু দূষণ কমানোর মাধ্যমে বছরে ২০০-৪০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার সঞ্চয় করতে পারবে। তার জন্য প্রতিদিন এ খাতের জন্য ৪৫০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশে বিদ্যুৎচালিত যানগুলোকে সঠিক নীতিমালার আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, ভেহিক্যালসকে নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের আনাতে হবে। পাশাপাশি ভেহিক্যালসগুলোর চার্জের জন্য আলাদা এলাকা দরকার। পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যাটারি রিসাইকেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
ভেহিক্যালস খাতসহ সব প্রাইভেট সেক্টরের উন্নয়নে দেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এজন্য বিডা কাজ করতে পারে। তার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান টিপু মুনশি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আাজাদ, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট(বিল্ড)এর সাবেক চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, জাপান এক্সটার্নাল টেড অরগানাইজেশনের(জেল্ট্রো)কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ দাইসুক আরাই প্রমুখ। জেল্ট্রো ও বিল্ড যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।