বিএনপি ছাড়লেন সাবেক মন্ত্রী মোরশেদ খান

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন দলের ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মোরশেদ খান।

মঙ্গলবার রাতে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।

যোগাযোগ করা হলে মোরশেদ খান জানান, তিনি ব্যক্তিগত কারণে বিএনপি ছেড়েছেন।

‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মনে হয়েছে যে দলে আমার আর অবদান রাখার কিছু নেই। এ কারণে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি,’ জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তরুণ নেতারা দলকে এগিয়ে নেবেন।

বর্তমানে বিএনপি যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মোরশেদ খান বলেন, ‘বিএনপির মতো একটি বড় ও জনপ্রিয় দল এখন স্কাইপের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এটা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।’

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় গত বছর কারাগারে যাওয়ার পর থেকে তার বড় ছেলে তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এখন এক দশক ধরে লন্ডনে আছেন এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে স্কাইপের মাধ্যমে যোগ দেন।

বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, মোরশেদ খানের ব্যক্তিগত সচিব মঙ্গলবার রাতে কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র নিয়ে আসেন এবং তা দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হাতে স্থানান্তর করেন।

২০০৭ সালের ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান মোরশেদ খান। তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু এ আসনে দল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানকে মনোনয়ন দেয়। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ