বিদ্যুৎ নেই, ১০ টাকার বিনিময়ে লাইন দিয়ে মোবাইল চার্জ করার সুযোগ মিলছে

জেনারেটর। কী কাজে লাগে? বিদ্যুৎ না থাকলে তেলকে শক্তি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কোনওদিন শুনেছেন তা মোবাইল চার্জ দেওয়ার কাজেও লাগতে পারে? সমস্যায় পড়লে সব হয়।

শহরাঞ্চলে অনেকেই যখন মোবাইল চার্জ দিতে এমন কোনও পরিচিতের বাড়ি খুঁজছেন যেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক রয়েছে সেখানে জেনারেটর পদ্ধতিকে মোবাইল চার্জের পথ হিসাবে বেছে নিয়েছে গ্রাম।

ঘটনা গ্রামীন হাওড়ার। আমফানের দানবীয় তান্ডবের জেরে গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন ব্লকে উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, ট্রান্সফরমার। যার জেরে গ্রামীণ হাওড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্যুৎহীন। ইন্টারনেট পরিষেবা বেশ কিছুটা ব্যাহত হলেও ক্রমে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।খবর কোলকাতা ২৪’র।

গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ থাকায় বহু মানুষের মোবাইলের চার্জ প্রায় শেষের পথে। মোবাইলে চার্জ দিতে মানুষের ভরসা এখন পাড়ার মোড়ের দোকানের জেনারেটর। সেই ছবিই দেখা গেল আমতা, বাগনান, উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর, উদয়নারায়ণপুরের বিভিন্ন এলাকায়। মোবাইলে চার্জ দিতে লম্বা লাইন পড়ছে। ব্যবসাও হচ্ছে। মোবাইল প্রতি ১০ টাকা অথবা ১৫ টাকার বিনিময়ে মিলছে চার্জ দেওয়ার সুযোগ।

অন্যদিকে,জোরকদমে লড়াই চালাচ্ছেন বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানির কর্মীরা। ইতিমধ্যেই দু-একটা জায়গায় বিদ্যুৎ আসার খবর মিলেছে। তবে এই দুর্যোগের দিনে জেনারেটর যে মানুষের বড়ো ভরসা তা বলাই যায়।

এদিকে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে রাজ্যের ৬০ শতাংশ সাবস্টেশন বিপর্যস্ত। রাজ্যের পাঁচটি জেলায় বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই বললেই চলে। যার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে কলকাতা। বাকি জেলাগুলি হল দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি। এই পাঁচ জেলায় ভয়ঙ্কর ভাবে ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। তবে নদিয়া, দুই মেদিনীপুর, মালদহ, বীরভূম-সহ একাধিক জেলায় আংশিক পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।