বিশ্বে ওষুধ উৎপাদনে শীর্ষে আসতে চাই

‘আমাদের ১৬ কোটি মানুষের দেশ, এই পপুলেশনই হচ্ছে আমাদের সম্পদ। সেখানে তরুণরা তো আরো এগিয়ে, যদি কিনা আমরা তাদের প্রপারলি ইউটিলাইজ করতে পারি। কিন্ত আমরা সেটা করি না। যদি আমরা তা করতে পারি, তাহলে যে বেনিফিট আমরা পাব, সেটা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বিশাল একটা উন্নয়ন নিয়ে আসবে’- আমাদের তরুণ সমাজের সম্ভাবনার কথা এভাবেই বলতে চান তরুণ উদ্যোক্তা গ্রীণটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের পরিচালক, আরেফিন রাফি আহমেদ। আজকের বাজার ও আজকের বাজার টেলিভিশন এবিটিভির সঙ্গে তাঁর কথপোকথনের চুম্বক অংশ তাঁরই ভাষায় প্রকাশ করা হলো।

তরুণরা জাতির ভবিষ্যত, যেকোনো দেশের জাতীয় সম্পদ হিসেবে কিন্ত তরুণদের গণ্য করা হয়। তরুণদের উন্নয়ন মানেই একটা জাতি বা রাষ্ট্রের উন্নয়ন। তো তরুণদের উন্নয়ন হলে  দেশও স্বাভাবিকভাবে উন্নতি করবে। কী কারণে আমরা বাচ্চাদের স্কুলে, কলেজে, বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াই।  কারণ তাদের উন্নয়নের জন্য,  তাদের মেধা বিকাশের জন্য। তারা ডিগ্রি নেয়ার পর একেকজন শিক্ষিত ও মেধাবি হয়ে শ্রম বাজারে আসে। কিন্ত শুরুতেই তারা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে বা বিষন্নতায় পড়ে। কারণ আমাদের চাকরি-বাজারের সিস্টেমটা অন্যরকম। আমরা শুরুর আগেই প্রথমে একজনের নিয়োগের সময় দুই বছর বা তিন বছরের অভিজ্ঞতা আশা করি। অথচ যারা একাডেমিক পড়াশুনা শেষ করে আসে তাদের কিন্ত কোনও অভিজ্ঞতা থাকে না। তখন তাকে ফ্রেশার হিসেবে নিয়োগ দিতে হচেছ।  আমরা টেকনো ড্রাগসের কিছু কিছু ডিপার্টমেন্ট নতুনদের নিয়ে শুরু করেছি।  এনেস্থেশিয়া বিভাগে সবাই একেবারে নতুন। দেশে কিছু মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি আছে, যারা আমাদের মতো একেবারে ফ্রেশারদের নিয়ে কাজ শুরু করে। এছাড়া বেশিরভাগ কোম্পানিই সবসময় অভিজ্ঞদের নিতে চায় বা নিয়োগ দেয়। ফলে নতুন চাকরি প্রার্থীরা বিজ্ঞাপন দেখে যখন আবেদন করতে চায় তারা আর আবেদন করতে পারে না, কারণ তার তো অভিজ্ঞতা নেই। কিন্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে অভিজ্ঞদের আবেদন করার জন্য। তখনই তারা এক ধরনের বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়। আবার নতুনরা যে একটা ব্যবসা শুরু করবে সে রকম কোনও পরিবেশও আমাদের দেশে নেই। আমাদের একাডেমিক সিস্টেমই  গৎবাধা। এই প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই বলে দেয়া আছে যে, আপনাকে সায়েন্স বা আর্টস বা কমার্স নিয়ে পড়তে হবে। যার কারণে দেখা যায়, তাদের একটা লাইনেই পড়তে হচ্ছে। ফলে অন্য বিষয়ে তাদের জ্ঞানের পরিধি বলতে গেলে নাই। আমি এসএসসি পাসের পর অস্ট্রেলিয়া চলে যাই পড়াশুনা করার জন্য। সেখানে আমি বিশে^র বিভিন্ন স্থানের ছাত্রদের সাথে কথা বলে দেখি যে, তাদের স্টাডি সিস্টেম আমাদের মতো না। এইচএসসি  প্রোগ্রামের মধ্যে তারা সব কিছু পড়তে পারছে। যেখানে কোন  রেসটিকশন নেই। একই সঙ্গে তারা সায়েন্স, আর্টস্, কমার্স, বিজনেস, কালচার সবই পড়তে পারছে। ফলে তারা একাধারে সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করছে। তো তাদের মতো এডুকেশন সিস্টেম আমাদের নাই। যার কারণে মেধাগতভাবে একটা মানসিক পার্থক্য  তৈরি হয়। যার কারণে আমরা মনে করি সায়েন্স নিয়ে যারা পড়ে কেবল তারাই মেধাবী। অন্যরা তেমন মেধাবী না। কিন্ত একটা পর্যায়ে এসে আমরা  যেকোনো বিষয় নিয়ে  জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে স্পেশালাইজড হতে পারি।

ট্যাকনিক্যাল এডুকেশন কি সামাধান

এখানেও একটা গ্যাপ রয়ে গেছে। আমাদের বেশিরভাগ স্কুলে কোনোরকম ট্যাকনিক্যাল সিস্টেম চালু নেই। সাধারণত এই সেক্টরে আমরা তেমন গুরুত্ব বা জোর দিই না । ফলে একজন শিক্ষার্থীকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করার পর আবার কারিগরি জ্ঞানের জন্য  পলিট্যাকনিক্যালে পাঠাতে হচ্ছে। উন্নত বিশে^র কোথাও এমন সিস্টেম নেই।  তারা স্কুল থেকেই বাছাই করে নেয় কে কোন বিষয়টা নিয়ে এগোবে। সেটা নির্বাচন করার পাশাপাশি ডিপ্লোমা করে পরে সেদিকেই এগিয়ে যায়। এভাবে বিষয় ভিত্তিক কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তত করে কাজে ঢুকে যায় তারা। তখন তার জন্য কাজের অনেক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায়।

দেশের বাইরের একটা উদাহরণ দিই। দুই বন্ধু এক সঙ্গে ইয়ার ১০ পাশ করে। তারপর তাদের একজন ডিপ্লোমা করতে চলে  গেল। আর অন্যজন ইয়ার ১১ ও ইয়ার ১২ করতে শুরু করে। যে ডিপ্লোমা করতে যায়, সে দুবছরের ডিপ্লোমা কমপ্লিট করে কাজে যোগ দেয়। আর যে ১১ ও ১২ ইয়ারে ঢুকলো, সে তার কোর্স শেষ করে বিশ^বিদ্যালয়ে  গেল। সে যখন তিন বছর পড়াশুনা করে বিশ^বিদ্যালয় শেষ করে, ততদিনে তার অন্য বন্ধু কাজ করে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছে। তখন সে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হয়ে গেল। অন্যদিকে যে বিশ^বিদ্যালয় শেষ করে কাজে আসলো তখন তাকে ওই ম্যানেজার বন্ধুর আন্ডারে এন্ট্রি লেভেলের কাজে ঢুকতে হলো। বাইরে কিন্ত তাদের মেন্টালিটিটা এরকমই, ওয়ার্ক বেইজড। আমাদের মতো না। এন্ড অফ দ্যা ডে কিন্ত আপনাকে কাজ করতেই হবে। আমাদের প্রত্যেকের তো টাকার প্রয়োজন। না খেয়েতো আর থাকা যাবে না। সো তারা ব্যাপারটা এভাবে মূল্যায়ন করে। কিন্ত আমাদের এখানে এর উল্টো, আমরা দেখি কে কত জিপিএ ৫ পেল, কে ভালো রেজাল্ট করল। এতে করে জ্ঞান না বাড়িয়ে আমরা মুখস্থবিদ্যার দিকে আমরা চলে যাচ্ছি। বাবা মায়েরা, স্কুল কলেজের শিক্ষকেরা পড়ার জন্য এতো চাপ দেয় যে শিক্ষার্থীরা  জ্ঞান না বাড়িয়ে শুধু জিপিএ-৫ এর পিছনে ছুটছে। তখন তাদের সার্বিক বৃদ্ধি আর হতে পারে কই। যার কারণে প্রফেশনালি তারা অনেক পিছিয়ে থাকে। আসলে আমাদের সার্বিক শিক্ষার সিস্টেমটাই এমন যে, এর বাইরে গিয়ে আর কিছু করার সুযোগ থাকে না। সে যতবড় ডিগ্রি নিক না কেন এট দ্যা এন্ড তাকে তো কোন না কোন কাজ করতে হবে। সেখানে কি আদৌ আমাদের সঠিক উন্নয়ন হচ্ছে?

আমাদের তরুণদের সম্ভাবনা

আমাদের ১৬ কোটি মানুষের দেশ, এই পপুলেশনই হচ্ছে আমাদের সম্পদ। সেখানে তরুণরা তো আরো এগিয়ে, যদি কিনা আমরা তাদের প্রপারলি ইউটিলাইজ করতে পারি। কিন্ত আমরা সেটা করি না।  যদি আমরা তা করতে পারি, তাহলে যে বেনিফিট আমরা পাব, সেটা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বিশাল একটা উন্নয়ন নিয়ে আসবে। যদি আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে এই বৃহৎ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে, আমরা এগিয়ে যেতে পারি। মনে রাখতে হবে, জনসংখ্যা যেমন সম্পদ হতে পারে, সেটা আবার ক্ষতির কারণ হিসেবেও দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন স্যোস্যাল মিডিয়াতে অনেক সময় দেখা যায় যে, স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে, বিবিএ করে রিক্সা চালাচ্ছে, রাস্তায় বাদাম বিক্রি করছে। কেন এমন হবে ? এর জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। কেন আমাদের শুধু চাকরিই করতে হবে, কেন অন্য কিছু না? আমাদের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিকেও তো এগোনো যায়। সেই স্কুল, কলেজ থেকেই যদি নতুন কিছু করার চিন্তার জ্ঞানটা দিয়ে দেয়া হতো, তাহলে তারা নতুন অনেক বিষয়ের মধ্যে একটা কিছু হয়তো বেছে নিতে পারত।

বিশ্ব বাজারে আমাদের ওষুধের সম্ভাবনা

আমি আমার পড়াশুনা শেষ করে পাঁচ বছর হলো  দেশে আছি। এই কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে যেটা বলতে পারি, এই সাব-কন্টিনেন্টের মধ্যে আমাদের ওষুধের মান অনেক ভালো। এ কারণে আমাদের জন্য রপ্তানির বাজার উন্মুক্ত ও সম্ভাবনাময়।  দেশের বাইরে থেকে যারা ওষুধ নিতে আসে তারা কিন্ত আমরা চাইলেই ওষুধ নিবে না। কয়েক ধাপে ওষুধের মান পরীক্ষা করার পর তারা আমাদের কাছ থেকে ওষুধ নেয়। তার মানে বুঝতে হবে, অন্য দেশের তুলনায় ওষুধের মান সন্তোষজনক ও দাম কম বলেই তারা আমাদের ওষুধ নিতে আগ্রহী। বিভিন্ন সময় দেখা যায় যে, অকশনের সময় ইন্ডিয়া প্রাইজ ডাম্পিং করে যাতে অন্য কেউ সুযোগ না পায়। কিন্ত বাস্তবতা হলো, এভাবে  তারা টেন্ডার পেলেও সময় মতো পণ্য ডেলিভারি দিতে পারে না বা দিলেও ওষুধের মান ভালো হয় না। তখন ক্লায়েন্টদের আমাদের কাছে আসতে হয়। জানা ভালো, বিশ^ ওষুধ মার্কেটে ভারতের অনেক কোম্পানি ইতিমধ্যে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে। আমাদের দেশে ২৬০টা ফার্মাসিউটিক্যালস্ কোম্পানি। এর মধ্যে কয়েকটি ছাড়া প্রত্যেকেই তাদের রেপুটেশন ঠিক রেখে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানি করছে।

টেকনো ড্রাগসের ওষুধ

গত বছর আমরা রপ্তানিতে তৃতীয় ছিলাম। এই বছ
রের রিপোর্টটা এখনও আমরা পাই নি। আমাদের ওষুধ উৎপাদনে মান নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। এমন না যে, আমাদের অভ্যন্তরীণ মার্কেটের জন্য এক মান আর রপ্তানির জন্য আরেক মান বজায় রাখতে হয়।  আমাদের প্রত্যেকটি ওষুধই সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তৈরি করা হয়। এখানে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, এসব ওষুধের ভোক্তা আমি,আপনি, সবাই। মানুষের অসুখের কারণেই কিন্ত এসব পথ্য।  তাদের কথা সবার আগে মাথায় রাখতে হয়। কারণ এখানে মানব জীবনের ঝুঁকি জড়িত। যদি কোন ওষুধের কোন উপাদান একটু কম বা বেশি হয় তাহলেই বিপদ । এর জন্য আমাদের প্রত্যেককে খুবই সতর্কতার সাথে কাজ করতে হচ্ছে। উৎপাদনের সময় কাঁচামালের সমস্যা না থাকলে বার বার চেক করে নেয়া হয়। যাতে সামান্যতম ভুলও না থাকে। তার পরও অনেক সময় ভুল হয়ে যায়। তবে সেটাও আমাদের চোখ এড়াতে পারে না। আমরা আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছি।  এ ছাড়া শ্রীলংকায় যায়। আমাদের ওষুধের বড় একটা অংশ আমরা জার্মানীতে পাঠাই। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নেও যায়, ওখান থেকে আমরা একটা সম্মানসূচক অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছি। আমাদের কোয়ালিটি এবং সময় ঠিক রেখে রপ্তানির মাধ্যমে ভালো সার্ভিস দিতে পেরেছি বলে এটা আমরা পেয়েছি। এভাবে আরো ডেভলপ করার চিন্তা করছি আমরা। আমরা বিশ্বাস করি, বিশে^র আরো অনেক দেশ রয়েছে যেখানে আমরা ওষুধ রপ্তানি করতে পারব। সে সুযোগ আমাদের রয়েছে।

নতুনদের নিয়োগে বিবেচনা

একজন নতুন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমেই আমি বিবেচনা করি তার স্মার্টনেস। একজন স্মার্ট লোকই পারে যে কোন পরিস্থিতির সামাল দিতে বা সুন্দরভাবে কোনও সমস্যার সমাধান করতে। তার একাডেমিক কোয়ালিফিকেশন,তার ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স বিবেচনায় থাকবে। অন্যদিকে গ্রিনটেক ও টেকনো ড্রাগস্ দুটোই আস্তে আস্তে এগোচ্ছে। তার মানে ইংরেজিতে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। আমি বলব না যে, এটা অবশ্যই থাকতে হবে কিন্ত এটা আমাদের আগামীর জন্য প্রয়োজন। সুতরাং একজন কর্মীকে কথা বলতে হলে ইংরেজিটা জানা প্রয়োজন। দিন কিন্ত এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমাদের অনেক বিদেশি ক্রেতা আসেন তারা তো আর বাংলা বোঝেন না। তাদের বোঝানো বা তাদের সাথে কথা বলতে গেলে ইংরেজিতেই বলতে হবে। তাই না। সুতরাং বেসিক ইংরেজি তো জানতে হবে। এখন বলতে পারেন, চাইনিজরা তো ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না। তারা তো দোভাষী নিয়ে কথা বলে। এখানে বিবেচনায় রাখতে হবে,  পুরো পৃথিবীতে চাইনিজরা তাদের পণ্যের মাধ্যমে ছড়িয়ে আছে। তারা তাদের ভাষা ছাড়া কথা বলে না বলতে চায় না। কিন্ত বাংলায়  দোভাষি চাইলেই পাওয়া যায় না। এটা একটা সমস্যা।  আমরা এখনও চীনের মতো করে বিশ^জনীন হতে পারি নি। তারা কিন্ত অলটাইম মেইড ইন চায়না। এটা মনে রাখতে হবে। বাংলাটা তো এখনও এমন হয়নি । এসব কারণে আসলে ইংরেজিটা জানা দরকার। মনে রাখতে হবে ইংরেজি এখনও বিশ্বজুড়ে প্রচল ও স্বীকৃত ভাষা। আমাদের সে অবস্থান আসেনি যে, একজন বাংলার প্রয়োজনে বাংলা দোভাষী খুঁজবে।

আমাদের ভিশন

এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে আসলে আমাদের অনেক প্রত্যাশা। শুরুতেই মূল ইচ্ছে ছিল,ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তাননি। এখন আমরা চাইছি, আমদানি করা ওষুধ দেশে উৎপাদন শুরু করতে। যার মাধ্যমে যে টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে, সেই টাকা দেশেই রেখে দিয়ে উল্টো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারে ওষুধের দাম কমিয়ে আনা। তাছাড়া আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রোডাক্ট বাজারে নিয়ে আসছি।  ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা তো আছেই। তবে বাধা পেরিয়ে যদি নতুন পণ্য, নতুন ধারণা নিয়ে, প্রতিনিয়ত আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারি; তাহলে আমাদের স্বপেরœ কাছাকাছি পৌঁছতে পারব বলে আশা করি। আমরা কেবল বাংলাদেশের মধ্যে আটকে থাকতে চাই না। পণ্যের গুণ, মান, নতুনত্ব নিয়ে বিশ^জুড়ে বাজার বিস্তার করে, বিশে^ ওষুধ উৎপাদনে প্রথম সারিতে আসতে চাই। এটাই আমাদের ভিশন। আমরা জানি, এটা একদিনে সম্ভব নয়। সময় লাগবে, ডেডিকেশন লাগবে, শ্রম লাগবে। এসবের পাশপাশি সঠিক ব্যবস্থাপনা আমাদের এগিয়ে যাবার পথে নিয়ে যাবে।

আরেফিন রাফি আহমেদ

ব্যবস্থাপনা পরিচালক, গ্রীনটেক রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন সেন্টার 

পরিচালক, টেকনো ড্রাগস্ লিমিটেড