বিষমুক্ত সবজি চাষে মশারি ব্যবহার

পাখির উপদ্রব, ডগা ও ফলছিদ্রকারী পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে সবজি ক্ষেত রক্ষায় লাইলনের মশারি বা জাল ব্যবহার করা হচ্ছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা এখন নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি চাষাবাদে কীটনাশকের পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতি হিসেবে মশারি বা জাল ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বিশেষ করে বেগুন, সিম, পটল, টমেটো, লাউ, কুমড়া, শশা ক্ষেতে মশারি বা জাল ব্যবহারের বিষয়টি নজর কাড়ছে। উপজেলা দহবন্দ ইউপির দক্ষিণ ধুমাইটারি গ্রামের শাহেদুজ্জামান মিয়া ৪০ শতক জমিতে বেগুন চাষ করেছে। পোকামাকড় ও বিষমুক্ত এবং নিরাপদ বেগুন উৎপাদনের লক্ষে তিনি বেগুন ক্ষেতের ওপরে লাইলনের মশারি ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, উঠতি ডগা এবং ফলনের সময় ডগা ও ফলছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ ব্যাপক হারে দেখা দেয়। সে সময় কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ বার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। কিন্তু মশারি ঝুলিয়ে দেয়ার কারণে কীটনাশক প্রয়োগ করার প্রয়োজন নেই বললে চলে। তিনি আরো বলেন, একবিঘা জমিতে বেগুন লাগা থেকে ধরা পর্যন্ত ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভাল হলে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার বেগুন বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে ৭৩০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কমবেশি বেগুন চাষাবাদ করা হয়েছে। তবে চরাঞ্চলে এর পরিমাণ বেশি। উপজেলা কৃষি অফিসার সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, বর্তমানে কৃষকরা সবজি ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ না করে বিষমুক্ত ও নিরাপদ সবজি চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের কিটনাশকের ব্যবহার থেকে দূরে সরে আসার পরামর্শ প্রদান করে আসছেন। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে কিটনাশক প্রয়োগ অনেকটা কমে যাবে।

আজকের বাজার/শারমিন আক্তার