বেনাপোলে আমদানি বাড়লেও রাজস্ব আসেনি

গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) প্রথম চার মাসে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি বেড়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৭ টন। তা সত্ত্বেও এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ সম্ভব হয়নি। শুল্কমুক্ত ও কম শুল্কযুক্ত পণ্য বেশি আমদানি হওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে স্থলবন্দরটি দিয়ে মোট পণ্য আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৩ দশমিক ৯৬ টন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৬ দশমিক ৮১ টন। এদিকে প্রথম চারমাসে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ছিল ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৭ লাখ টাকা। বিপরীতে আহরণ হয়েছে ১ হাজার ২৬০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯০ কোটি ২২ লাখ টাকা কম রাজস্ব আহরণ হয়েছে।
মাসওয়ারি হিসাবে জুলাইয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৯৩ দশমিক ৬৪ টন। পরবর্তী তিন মাসে আমদানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১ লাখ ২১ হাজার ১৩৫ দশমিক ৮৯ টন, ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৫০ টন ও ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮০৪ দশমিক ৪৩ টন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, কম শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি হলে রাজস্ব কমবে, এটাই স্বাভাবিক। যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আল-আমিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুর রহমান খান হিরু বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ না থাকায় অনেকেই বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এ কারণে এখানে রাজস্ব আহরণ কমে গেছে।
এ ব্যাপারে বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. শওকত হোসেন জানান, আমাদের উচ্চ শুল্কযুক্ত পণ্যের আমদানি কমে গেছে। কম শুল্কযুক্ত পণ্য বেশি আসছে। গত চারমাসে চাল আমদানি বেড়েছে। চালে সরকার নির্ধারিত শুল্কের হার মাত্র ২ শতাংশ। এ কারণে আমদানি বাড়লেও রাজস্ব আহরণ কমেছে।
আজকের বাজার : সালি / ১৫ নভেম্বর ২০১৭