বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার আবেদন

করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার দরুণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৩৯০ কোটি টাকার ‘কারিগরি ইনস্টিটিউট প্রণোদনা প্যাকেজ’ চেয়েছে বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের সংগঠন ‘টেকনিক্যাল এডুকেশন কনসোর্টিয়াম অব বাংলাদেশ (টেকবিডি)’।

শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা-উপমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছেন বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের সংগঠন ‘টেকনিক্যাল এডুকেশন কনসোর্টিয়াম অব বাংলাদেশ (টেকবিডি)’।

সংগঠনটির সভাপতি আবদুল আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ আবেদনে বলা হয়, বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাবে ১৭ মার্চ থেকে সরকারের সিদ্ধান্তে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত ও অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা দিশেহারা।

আবেদনে দেশের বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্যান্য পেশার মতো সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য তিনশত নব্বই কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল গঠন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়।

একইসাথে, কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য ২ শতাংশ সুদে ৫ বছর মেয়াদি জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

বলা হয়, স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলো নানা কারণে অর্থনৈতিক দুর্বলতার শিকার। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বেশিরভাগ ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত বেতন দিয়েই প্রতিষ্ঠানের ভবন ভাড়া, সব ইউটিলিটি বিল এবং শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। কিন্ত শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সত্বেও দুর্যোগকালীন সময়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফিসহ অন্যান্য পাওনা আদায় করে না। এতে করে সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক মহাসংকটে পড়েছে এবং এই সংকটের প্রভাব পড়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ওপর। এই কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা খুব সামান্য বেতনে শিক্ষকতা করে দেশের ভবিষৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার গুরুদায়িত্ব পালন করছেন।