ব্রণের সমস্যা সমাধানের উপায়

বয়:সন্ধির সময়ে অনেকেই ব্রণর সমস্যায় ভুগে থাকেন। তৈলাক্ত ত্বক, ফুসকুড়ির সমস্যায় জেরবার হন সব বয়সেরই মানুষ। বাজারচলতি কসমেটিকসের ব্যবহার করেও হয় না কোনও সুরাহা।
মনোবিদদের মতে, ব্রণর সমস্যার প্রভাব পড়ে আত্মবিশ্বাসে। অথচ সঠিক সুরাহা পান না কেউই। তাহলে কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনবেন তৈলাক্ত ত্বক? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কেন হয় ব্রণ ?

অ্যাকনে কমানোর জন্য আগে জানতে হবে এর পেছনের কারণ।
আমাদের প্রত্যেকের ত্বকের লোমকূপে থাকে সিবেসিয়াস গ্রন্থী। এই গ্রন্থী থেকে শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নি:সৃত হয় সিবাম। এই সিবাম এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ। এর মাধ্যমে শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের হয়। তা ছাড়া ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে সিবাম।
বয়:সন্ধির সময়ে, জিনগত কারণে বা কিছু কিছু খাবারের প্রভাবে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে এই তেল নি:সরণের পরিমাণ বেড়ে যায়।
অন্যদিকে, ত্বকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মৃত কোষ তৈরি হয়। এই মৃত কোষের কারণে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নি:সৃত তেল জমতে থাকে লোমকূপের মুখে। সেখানে বাসা বাঁধে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া। এর ফলে ত্বকের সেই অংশটি ফুলে ওঠে। এই ভাবেই তৈরি হয় ব্রণ।

কিভাবে কমাবেন ব্রণ?
১. বাইরে থেকে এসে, ঘুমোতে যাওয়ার আগে ও পরে অবশ্যই মুখ ধোবেন। Salicylic acid আছে এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। তবে দিনে ২-৩ বারের বেশি ফেশওয়াস ব্যবহার করবেন না। মুখ ধোওয়ার পর অবশ্যই ব্যবহার করুন কোনও ওয়াটার বা জেল বেসড্ লাইট ময়েশ্চরাইজার।
২. সপ্তাহে দুই দিন স্ক্রাব ব্যবহার করুন। এতে মৃত কোষ বা Dead skin cells দূর করা যাবে।
৩. মেকআপ যত সম্ভব কম করুন। মেকআপ করলেও মেকআপ তুলতে ব্যবহার করুন কোনো ভালো মেকআপ রিমুভার।
৪. নিয়মিক শ্যাম্পু করে চুলে ডানড্রফের পরিমাণ কম রাখুন। কপালে বা গালে যাতে বার বার চুল এসে না পরে, সেই দিকে নজর রাখুন।
৫. মুখে বার বার হাত দেবেন না। ব্রণ হলেও চেপে ফাটাতে যাবেন না।
৬. তেল-মশলা, চিনি, কার্বোহাইড্রেট, ডেয়ারি দ্রব্য এড়িয়ে চলুন। প্রচুর পরিমাণে জল খান। রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন ফল ও শাক-সবজি।
৭. ওজন নিয়ে ব্যায়াম করলে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পায়। এতে ত্বক বেশি তৈলাক্ত হয়ে যায়। ব্রণর সমস্যা থাকলে ওয়েট ট্রেনিং এড়িয়ে চলাই ভাল।
৮. তবে এক্সারসাইজ করা ছেড়ে দেবেন না। হরমোনের ভারসাম্য আনতে এক্সারসাইজের জুড়ি মেলা ভার।
৯. স্ট্রেস কম নিন। সম্ভব হলে ধ্যান বা যোগা করুন।
১০. সমস্যা অতিরিক্ত হলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।